চন্দনাদেবীকে নিয়ে পৃথক সংস্থা খুলে দত্তক ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী!
পৃথক সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে দত্তকের ব্যবসা খুলতে চেয়েছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরী। তাঁর দিল্লি কানেকশন সংক্রান্ত তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে উঠে এল এই তথ্য।
জলপাইগুড়ি, ২১ ফেব্রুয়ারি : জলপাইগুড়ির হোমে শিশু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পৃথক সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে দত্তকের ব্যবসা খুলতে চেয়েছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরী। তাঁর দিল্লি কানেকশন সংক্রান্ত তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে উঠে এল এই তথ্য। হোম মালিক তথা স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে তাই বারবার দিল্লিএ দরবার করতেন তিনি। জুহির বাবা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীও এই ঘটনা মেয়ের সঙ্গে থাকতেন।[শিশুপাচারে সিআইডি নজরে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলছেন দিলীপ]
সিআইডি তদন্ত বিজেপি-র কপালের ভাঁজ আরও স্পষ্ট হচ্ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ঘটনায় আরও বড় মাথারা জড়িয়ে রয়েছে। সিআইডি তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, চন্দনা দেবী নাম কা ওয়াস্তে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর ধ্যানজ্ঞান ছিল এই ব্যবসা। তাঁর হোমে 'নিলাম' করে বিক্রি হত শিশু। সমস্ত আটঘাঁট বেঁধেই এই কাজে নেমেছিলেন চন্দনাদেবী।[বিধানসভায় মাস্টারস্ট্রোক মুখ্যমন্ত্রীর, শিশু বিক্রি রুখতে বিরোধীদের গুরুত্ব দিয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি]
আর এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে পেয়েছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীকে। জুহিদেবী চন্দনাদেবীকে সমস্ত কাজেই সাহায্য করতেন। রেজিস্ট্রেশন নবীকরণ থেকে শুরু করে অনুদান, সমস্ত কিছুতেই চন্দনাদেবী বা তাঁর সংস্থার পাশেই থাকতেন জুহি দেবী। তাঁকে রিসর্ট দেওয়ার কথাও ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তার থেকেও বড় চাঞ্চল্য জুহি-চন্দনা জুটি নতুন সংস্থা খুলে এই দত্তক ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন নতুন আঙ্গিকে।[ভারতে বছরে ১ লক্ষ শিশু খোয়া যায়, শিশু চুরি ও পাচারে দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ]
সিআইডি জানতে পেরেছে, হোম চালাতে গিয়ে যে সমস্ত প্রশাসনিক অসুবিধা হত, তা সামলাতেন জুহি। এক কথায় চন্দনাদেবীর মুশকিল হাসান হিসেবে কাজ করতেন জুহিদেবী। জুহি সম্প্রতি চন্দনাদেবীকে নিয়ে কেন্দ্রের দাপুটে এক মন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকোথনের রেকর্ড ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসে পৌঁছেছে। নর্থ ব্লকে প্রবেশের ফুটেজও পেয়েছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
এই রবিবারও চন্দনাদেবীকে নিয়ে জুহির দরবার করতে যাওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। সেই টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। সেই টিকিটও হাতে পেয়েছে পুলিশ। মেট কথা শিশু পাচার চক্রে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গিয়েছেন বিজেপির মহিলা মোরআর ওই নেত্রী। বিজেপি রাজ্য সভাপতি যতই এই অস্বস্তি মানতে রাজি না হন, শিশু পাচারের ইর কিন্তু ধেয়ে আসছে পদ্ম শিবিরের দিকেই।