ধুলাগড়ে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সম্পাদক
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যের সর্বত্র চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচি। এর মধ্যেই ফের সংবাদ শিরোনামে ধুলাগড়।
হাওড়া, ৫ জানুয়ারি: সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যের সর্বত্র চলছে বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচি। এর মধ্যেই ফের সংবাদ শিরোনামে ধুলাগড়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জোর করে ঢোকার অভিযোগে পুলিশের জালে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় সিং।
জানা গিয়েছে, ধুলাগড়-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু এলাকায় ঢোকার অনেক আগে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন সঞ্জয় সিং। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই বুধবার বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় সিং-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা দাবি,সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনেই এই ঘটনা সাজিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন নামা হবে বলেও সুর ছড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় তাঁদের আরও অভিযোগ, ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করতে না পেরে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ধুলাগড়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় সমস্ত বাড়ি, দোকানপাট। এরপরেই ঘটনাস্থলে যায় বিজেপি। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, ধুলাগড়ের ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয় না কংগ্রেস এবং বাম প্রতিনিধি দল।