বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ধূলাগড়ের গ্রামে ঢুকতে বাধা পুলিশের, মুম্বই রোড অবরোধ
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ধূলাগড়ের গ্রামে ঢুকতে দিল না হাওড়া পুলিশ। ধূলাগড় চৌরাস্তার মোড়েই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ৬ নম্বর জাতীয় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়
কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর : বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ধূলাগড়ের গ্রামে ঢুকতে দিল না হাওড়া পুলিশ। ধূলাগড় চৌরাস্তার মোড়েই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ৬ নম্বর জাতীয় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। ফলে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় মুম্বই রোড তথা ছ'নম্বর জাতীয় সড়কে।
এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় দলে ছিলেন জগদম্বিকা পাল, সত্যপাল সিং, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সত্যপাল সিং বলেন, পুলিশ আমাদের ঢুকতে দিল না। আমাদের ঢুকতে দিলে মানুষকে বোঝাতে পারতাম। জনগণ আর সঙ্ঘর্ষে মদত দিত না। আমরা তো এলাকায় অশান্তি ছড়াতে যাচ্ছিলাম না। এলাকায় যাতে শান্তি ফেরে, সেই কারণেই আমাদের গন্তব্য।
পুলিশি নিষেধাজ্ঞা ছিলই। তা সত্ত্বেও ধূলাগড়ে গিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ধূলাগড় নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে ধূলাগড়ের গোষ্ঠীসঙ্ঘর্ষে বিধ্বস্ত গ্রামে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য পূর্ণ হল না। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে গ্রামে ঢোকার আগেই আটকে দিল পুলিশ। আগেও বিজেপির মহিলা সদস্যরা ফিরে গিয়েছিলেন গ্রামে ঢুকতে না পেরে।
গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠীসঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার ধূলাগড়। দফায় দফায় সঙ্ঘর্ষ, ব্যাপক বোমাবাজি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রথমবার ধূলাগড়ের গ্রামে ঢুকতে না পেরে রাজ্য বিজেপি সদস্যরা রিপোর্ট দিয়েছিল কেন্দ্রকে। তারপরই কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে শেষপর্যন্ত নতি স্বীকার করতে হল বিজেপিকে। রাজনৈতিক দলকে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকল পুলিশ।