ভবাদিঘি যাওয়ার পথে আক্রান্ত বিকাশ ভট্টাচার্য, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
ভবাদিঘি যাওয়ার পথে আক্রান্ত হলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র সদস্যরা। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের রাস্তার ফেলে মারধর করে।
হুগলি, ১ এপ্রিল : ভবাদিঘি যাওয়ার পথে আক্রান্ত হলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ 'সেভ ডেমোক্রেসি'র সদস্যরা। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের রাস্তার ফেলে মারধর করে। পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। বারবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। বাধ্য হয়েই পথে আক্রান্ত হয়ে ভবাদিঘি না গিয়ে ফিরে আসেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভারতী মুৎসুদ্দিরা।
এদিন ভবাদিঘি আন্দোলনে যোগ দিতে 'সেভ ডেমোক্রেসি'র সদস্যরা যাচ্ছিলেন। আরামবাগ হয়ে গোঘাট যাওয়ার পথে তাঁদের রাস্তা আটকে দাঁড়ায় ৩০ জন্য তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, গাড়ি থামিয়ে তাঁরা মারধর করে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন অন্য সদস্যরাও। অভিযোগ, বিকাশবাবুকে লাতি, কিল, চড়, ঘুষি মারা হয়েছে। তিনি পিঠে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এমনকী মহিলা সদস্যদেরও ছাড়া হয়নি, তাঁরাও আক্রান্ত হয়েছেন।
বাধ্য হয়েই ফিরতে হয়েছে সেভ ডেমোক্রেসির সদস্যদের। ফেরার পথে আরামবাগের মহকুমাশাসকের কাছে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানিয়ে আসেন। বিকাশবাবুর অভিযোগ, সারা জীহনে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি। '৭২ সালেও এমন ঘটনা ঘটেনি। এইসব তৃণমূলকর্মীরা সমস্ত কিছু করতে পারে। বিকাশবাবু বলেন, 'তৃণমূলকর্মীরা দাবি করছেন এখানে একজন খুন হয়েছেল, সেই খুন নাকি আমি করেছি। এই প্রথম আমার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও তুল এদিল তৃণমূল।'
গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, বিকাশবাবুকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনিনি। তৃণমূলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগসূত্র নেই। শহিদ পরিবারের সদস্যরা সিপিএমের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বলে শুনেছি। উল্লেখ্য জমি জটে আটকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ। অভিযোগ, যে সমস্ত পরিবার জমি দিতে চায়নি, তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, জোর করে এক ইঞ্চিও জমি নেওয়া হবে না।