আধা বনধের চেহারা নেওয়া ভাঙড়ে অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহিলা-শিশুরাই
ভাঙড় আছে ভাঙড়েই। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। আবারও অবরুদ্ধ ভাঙড়ের রাস্তাঘাট। গাছের গুঁড়ি আর ইটের প্রাচীর তুলে রাস্তার দখল নিয়েছে এলাকারবাসী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৭ মার্চ : ভাঙড় আছে ভাঙড়েই। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। আবারও অবরুদ্ধ ভাঙড়ের রাস্তাঘাট। গাছের গুঁড়ি আর ইটের প্রাচীর তুলে রাস্তার দখল নিয়েছে এলাকারবাসী। এবার মহিলা ও শিশুরাই অগ্রভাগে দাঁড়িয়ে এই অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গাড়ি ঢুকলেই আওয়াজ তুলছেন মুখে। আর তা শুনেই ভয়ে পিছু হটছে সমস্ত গাড়ি। পুলিশও ধীরে চলো নীতি নিয়েছে এই আধা বনধের চেহারা নেওয়া ভাঙড়ে।
হাড়োয়া রোড অবরুদ্ধ। পুলিশ ও র্যাফ দাঁড়িয়ে রয়েছে অনড়েক দূরে পোলের হাট বাসস্ট্যান্ডে। গ্রামে ঢোকার সাহস করছে না একেবারেই। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে গাড়ি সামলাতেই ব্যস্ত পুলিশ, যাতে যানজট না হয়ে যায়। পুলিশের মনে এখনও ভাসছে ১৭ জানুয়ারি আন্দোলনরত গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের সেই ঘটনাপ্রবাহ। তারপরই সর্বত্র অবরোধ ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে ভাঙড়জুড়ে।
পুলিশ প্রশাসন মনে করছে, এখনই এলাকায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় পুলিশের বড় কর্তাদের নিষেধ মেনে পুলিশ নিষ্পৃহ থাকছে। ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পুলিশকে। কিন্তু কেন দেড়মাসের মধ্যেই শান্তি প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে গেল? গ্রামবাসী মনে করছেন মুখে শান্তির কথা বললেও এই পর্বে ধাপ্পা দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি মিছিলের নামে এলাকা দাপানোর চেষ্টা করছে। অনেক সময়ই তৃণমূলের মিচিল থছেকে বোমা উড়ে আসছে। ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হচ্ছে সুযোগ পেলেই। নিরীহ গ্রামবাসীদের জেলে পোরা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আরো অভিযোগ, তৃণমূলের বৈঠক থেকেই মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে রাস্তা নেমেছেন মহিলারা। শিশুদের নিয়ে তাঁরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে আন্দোলনে।