বাংলায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে আইএসআই লিঙ্কম্যান? ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় রিপোর্টে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে গত তিনবছরে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট ৪৬ জন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের লিঙ্কম্যান বা এজেন্ট গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে ১৬ জন রয়েছে বাংলা থেকে।
কলকাতা, ১ নভেম্বর : বাংলা হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুরঘর। বহুদিন ধরেই এই আওয়াজ উঠেছে। এরাজ্যে সেভাবে বড় কোনও নাশকতা না করে বাংলার মাটিকে করিডোর হিসাবেই ব্যবহার করে জঙ্গিরা, বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতও তেমনই। তবে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে ঘটনা গোটা চিত্রটাই বদলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজর গিয়ে এবার পড়েছে বাংলার উপরে। আর তাতেই উঠে আসছে একেরপর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। [এনআইটি থেকে পাশ করা যুবক কেরলে আইএসআইএস মডিউল তৈরির কারিগর!]
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে গত তিনবছরে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট ৪৬ জন পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের লিঙ্কম্যান বা এজেন্ট গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি অর্থাৎ ১৬ জনই গ্রেফতার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। [ভারতে স্লিপার সেল তৈরিতে ব্যস্ত আইএস জঙ্গিরা!]
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই রিপোর্ট পেশ করেছে। বাংলার পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও পাঞ্জাব। [এমন মিসাইল বানাচ্ছে ভারত যা দিয়ে একলপ্তে গোটা পাকিস্তানকে নিশানা করা যাবে]
কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টার্স ফোর্সের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এতজন আইএসআই লিঙ্কম্যান গ্রেফতার নিয়ে কেন্দ্র রীতিমতো চিন্তিত। এর মধ্যে ২০১৫ সালেই মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। [শাহদাত-ই-আল-হিকমা, বাংলায় এই সংগঠনের আড়ালেই জঙ্গিবাদের শিকড় ছড়াচ্ছে!]
বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ মোট তিনটি দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা ভাগ করে। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান, যা ভারতের আর কোনও রাজ্যকে করতে হয় না। এই তিনটি দেশের সীমানাকেই খুব সহজে ব্যবহার করে পুলিশ-বিএসএফের নজর এড়িয়ে নাশকতার আমদানি করা সম্ভব বলে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন।
গোয়েন্দা রিপোর্টে এর আগেও বারবার বাংলাকে জঙ্গিদের আত্মগোপনের স্বর্গরাজ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবারের রিপোর্টেও সেকথার উল্লেখ রয়েছে। যেভাবে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী পশ্চিমবঙ্গকে ঘাঁটি বানিয়ে ভারতে সন্ত্রাসের বীজ বপন করতে চাইছে তাতে গোয়েন্দারা উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়াকে বেশি করে টার্গেট করা হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের রিপোর্ট আরও বলছে যে বাংলাকে শুধু যে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকেও তারা টার্গেট করছে। ফলে আগামী দিনে বাংলাকে আরও বেশি করে দখলে নিতে চাইছে জঙ্গিরা। এখন দেখার কেন্দ্র কীভাবে এই জঙ্গিবাদের মোকাবিলা করে।