শরীরে পোড়া দাগ! তা জানতেই নববধূর সঙ্গে যা হল তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হারমানায়
হাসপাতালে ভর্তি হয়েও নিস্তার পেলেন না কাটোয়ার নির্যাতিতা। শ্বশুরবাড়ির পর হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে গঞ্জনা শুনে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করার হুমকি দিলেন নববধূ।
অপরাধ তাঁর, শরীরে রয়েছে পোড়া দাগ। আর সে জন্য কী লাঞ্ছনাই না সহ্য করতে হল নববধূকে! শ্বশুরবাড়ি থেকে হাসপাতাল- সর্বত্রই তাঁর সঙ্গে যা হল, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হারমানায়। নির্লজ্জ নির্মম ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।
রবিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েও নিস্তার পেলেন না কাটোয়ার নির্যাতিতা। হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্যও তাঁকে গঞ্জনা দেওয়া হল। শ্বশুরবাড়ির পর হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে গঞ্জনা শুনে তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে বসলেন।
শেষমেশ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সটান গেলেন থানায়। প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন তিনি। থানায় পুলিশকে গিয়ে সব কথা জানালেন। সুবিচার চাইলেন প্রশাসনের কাছে। জানালেন, তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কাছে। তিনি সঠিক বিচার পাবেন বলে আশাবাদী।
অভিযোগ, ডাক্তার তাপস সরকার হাসপাতালের চিকিত্সার পরিষেবা নেওয়ার জন্য তাঁকে বিদ্রুপ করেন। সেই কারণেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান তিনি। তবু থানায় গিয়ে নির্দিষ্ট করে চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি নির্যাতিতা গৃহবধূ।
উল্লেখ্য, শরীরে পোড়া দাগ থাকায় নববধূকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় শ্বশুরবাড়িতে। তাঁকে প্রায় বিবস্ত্র করে পোড়া দাগ খোঁজা হয়। সদ্য বিবাহিত ওই বধূকে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ লগ্নেই এই অবমাননার স্বাক্ষী হতে হয়।
শেষপর্যন্ত তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। অর্ধনগ্ন অবস্থায় মারধর করে বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তারপর হাসপাতালে গিয়েও জোটে গঞ্জনা। নিজের উপর চরম বিতৃষ্ণায় আত্মহত্যা করার কথাও তিনি ভেবেছিলেন। হুমকিও দিয়েছিলেন আত্মহত্যা করার। শেষপর্যন্ত অবশ্য প্রতিবাদের রাস্তাতেই হাঁটেন তিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা নববধূ।