উদয়নের গোপন জবানবন্দির আবেদন আদালতে, রায়পুর পুলিশ চায় ট্রানজিট রিমান্ডে
বাঁকুড়া পুলিশ আদালতের কাছে তার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে। তারপরই রায়পুর পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
বাঁকুড়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি : আট দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে আজ ফের বাঁকুড়া আদালতে পেশ করা হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে। পুলিশের কাছে সে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সেইমতো বাঁকুড়া পুলিশ আদালতের কাছে তার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে। তারপরই রায়পুর পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।[মিথ্যে ধরা পড়ার ভয়েই আকাঙ্ক্ষাকে নির্মমভাবে খুন করে উদয়ন! বলছে বাঁকুড়া পুলিশ]
আইনি নিয়ম অনুযায়ী গোপন জবানবন্দি দিতে গেলে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর আলাদা সেলে রেখে অভিযুক্তকে একদিন ভাবতে সময় দেওয়া হয়। তারপরই তার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। বাঁকুড়া পুলিশের আবেদন মেনে উদয়নের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হলে আরও একদিন পর ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানাতে পারবে রায়পুর পুলিশ।[উদয়ন ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্বে অনড় থাকলেও, আকাঙ্ক্ষা হত্যাকাণ্ডের মোটিভ টাকার নেশাই]
মঙ্গলবারই রায়পুর পুলিশের একটি দল বাঁকুড়া এসে পৌঁছেছে। তারা বাবা-মার খুনের তদন্তে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে উদয়নকে জেরা করতে চায় রায়পুর পুলিশ। সেইমতো তাদের ট্রানজিট রিমন্ডের আবেদন একদিন পিছিয়ে যাবে। এদিকে বাঁকুড়া পুলিশ উদয়নের ল্যাপটপ, দু'টি ব্ল্যাকবেরি ফোন-সহ অন্যান্য ছোটখাটো প্রমাণাদি তুলে দিচ্ছে রায়পুর পুলিশের হাতে।[একাধিক কলগার্লের সঙ্গে সম্পর্ক উদয়নের, আকাঙ্ক্ষা-হত্যার পর জুটেছিল নতুন বান্ধবীও]
বাঁকুড়া পুলিশ আটদিনের দীর্ঘ জেরায় আকাঙ্ক্ষা খুনের মোটিভ স্পষ্ট করেছে। পুলিশ জানিয়েছে উদয়নের সমস্ত অপকীর্তি আকাঙ্ক্ষা জানতে পেরে গিয়েছিল। সেই মিথ্যার বেসাতি ধরা পড়ার ভয়েই আকাঙ্ক্ষাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয় উদয়ন। এমনকী বাবা, মা, প্রেমিকাকে খুনের পরও ক্ষান্ত হয়নি সে, প্রেমিকা আকাঙ্ক্ষার বাল্যবন্ধু বিকাশ সিংহকেও খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল সে। তার আগেই অবশ্য বাঁকুড়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।[উদয়নের 'নেক্সট টার্গেট' ছিল আকাঙ্ক্ষার পরিবার, দেওয়া হয়েছিল মার্কিন ভিসার টোপ]