কুপ্রস্তাবে সম্মত হলেই মিলবে বকেয়া, শিক্ষিকার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ হেড ক্লার্কের বিরুদ্ধে
শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল পরিদর্শক অফিসের প্রাক্তন হেড ক্লার্কের বিরুদ্ধে। ক্লার্কের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন আপার প্রাইমারির এক স্কুল শিক্ষিকা।
উলুবেড়িয়া, ১৪ জানুয়ারি : শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল পরিদর্শক অফিসের প্রাক্তন হেড ক্লার্কের বিরুদ্ধে। ক্লার্কের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন আপার প্রাইমারির এক স্কুল শিক্ষিকা। এই মর্মে তিনি স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে থানা, এমনকী মহিলা কমিশনেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু সুরাহা মেলেনি, শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন ওই শিক্ষিকা।
২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর উলুবেড়িয়ার আপার প্রাইমারি স্কুলে বদলি হয়ে এসেছিলেন ওই শিক্ষিকা। আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলে চাকরি করতেন। সেখান থেকে অ্যাপ্রুভাল আসতে দেরি হয়। ফলে তাঁর দু'মাসের বেতন আটকে যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এরিয়ার হিসেবে ওই শিক্ষিকা পাবেন বলে জানায় স্কুল পরিদর্শকের অফিস।
বকেয়া টাকা আদায়ে তিনি এডিআই অফিসে গেলে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া হয়। এমনকী তাঁকে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিবাদ করলে তাঁকে নিচুজাত বলেও অপমান করা হয়। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ক্লার্ক। তিনি মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে এডিআই অফিসের হেডক্লার্ক সমীর মুখোপাধ্যায় অবসর নেন। এতদিন পর তার বিরুদ্ধে এই ধরেনর অভিযোগ ওঠায়, তিনি ব্যথিত। সমীরবাবু বলেন, ওই শিক্ষিকা প্রোপার ওয়েতে আবেদন করেননি বলেই দু'মাসের টাকা পাননি। সঠিক কাগজপত্রও আনাতে পারেননি সময়মতো। এখন টাকা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাটার্য বলেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।