আউশ গ্রামের ধুন্ধুমারে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা-সহ ১১, আটক সিপিএম নেতাও
বর্ধমানের আউস গ্রামে শনিবারের ধুন্ধুমার কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তৃণমূল কাউন্সিলর চঞ্চল গড়াইও রয়েছে। এছাড়াও সিপিএম-এর জোনাল কমিটির সম্পাদক আটক।
বর্ধমান, ২৯ জানুয়ারি : বর্ধমানের আউস গ্রামে শনিবারের ধুন্ধুমার কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে তৃণমূল কাউন্সিলর চঞ্চল গড়াইও রয়েছে। এছাড়াও সিপিএম-এর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুরেশ হেমব্রম গুসকরাকে আটক করা হয়েছে।
জনরোষে চোখের সামনে জ্বলল থানা, অসহায় পুলিশের কান্নাই সম্বল
নবান্ন সূত্রের খবর, আউশ গ্রাম কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চঞ্চল গড়াইকে গ্রেফতার করা হয়। এই ধরনের ঘটনায় দল না দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা কখনওই রাজ্যে বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে আরও গ্রেফতার করা হবে বলে নবান্নর তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আউশগ্রামে স্কুলের সামনে বেআইনি নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ ও জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এই ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী-সহ ৪০ জন জখম হন। অভিযোগ, স্কুলের জমি বেআইনিভাবে দখলে মদত দিয়েছিল পুলিশ। প্রতিবাদে জানিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এরপর শনিবার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছাত্রছাত্রীরা থানার সামনে এসে প্রতিবাদ শুরু করে এবং বিক্ষোভ দেখায়। এর পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ সরাতে গেলে শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লাঠি হাতে আক্রমণ করে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। একেবারে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।
এই ঘটনার পরই কড়া অবস্থান নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড়ের পর আউস গ্রামেও জনতা পুলিশ সংঘর্ষ। বারবার এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে ঘটায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েনি বিরোধীরা।
তবে শনিবারের ঘটনার পর থেকে এখনও থমথমে আউশগ্রাম। দফায় দফায় পেট্রোলিং পুলিশের। গতকাল রাতে ফের হামলার ভয়ে পুলিশ স্টেশনে তালা লাগিয়ে রাখাও হয়।