ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে বুকে এয়ার বাবল ঢুকিয়ে অভিনব কায়দায় খুন খড়দহের জ্যোতিষি
খড়দহে জ্যোতিষি খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনব কায়দায় ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে বুকে এয়ার বাবল ঢুকিয়ে খুন করা হয়েছিল জ্যোতিষি জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে।
উত্তর ২৪ পরগনা, ২৫ ফেব্রুয়ারি : খড়দহে জ্যোতিষি খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনব কায়দায় ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে বুকে এয়ার বাবল ঢুকিয়ে খুন করা হয়েছিল জ্যোতিষি জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে। পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে সম্পর্কের টানা পোড়েনেই এই খুন। মহিলাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বশীকরণ করার গল্প ফেঁদে এই খুন করা হয়েছে। মহিলা সহকারী-সহ এই খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন খড়দহের জ্যোতিষি জয়ন্ত ভট্টাচার্য। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি খড়দহেরই কল্যাণগড় থেকে উদ্ধার করা হয় জ্যোতিষির দেহ। তাঁকে এমনভাবেই খুন করা হয়েছিল, প্রাথমিক মনে হয়েছিল হার্ট অ্যাটাক করে খুন করা হয়েছে। গলায় একটি দাগ দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের।
এরপরই জ্যোতিষির এই রহস্য মৃত্যুতে উঠে আসে এক মহিলা সহকারীর নাম। মহিলা সহকারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে জ্যোতিষি খুনের তত্ত্ব। অভিযোগ, মহিলা সহকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল জ্যোতিষির। তা নিয়েই ওই মহিলার পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। পরে ওই মহিলাকে টোপ করেই জ্যোতিষিকে খুনের চক্রান্ত করা হয়।
মহিলা
জ্যোতিষিকে
গিয়ে
জানায়,
তাঁর
সঙ্গে
স্বামীর
সম্পর্ক
খারাপ
হয়ে
গিয়েছে।
তাই
তাঁর
স্বামীকে
বশীকরণ
করতে
হবে।
এই
গল্প
ফেঁদে,
তাঁকে
গাড়িতে
তুলে
নেওয়া
হয়।
গাড়িতেই
ছিলেন
অন্যান্যরা।
তারপর
গাড়ির
মধ্যেই
তাঁকে
মদ
খাইয়ে
বেহুঁশ
করে
দেওয়া
হয়।
তারপর
ফাঁকা
সিরিঞ্জি
এয়ার
বাবল
ঢুকিয়ে
ইঞ্জেক্ট
করা
হয়
বুকে।
হৃদযন্ত্র
বিকল
হয়ে
মৃত্যু
হয়
জয়ন্ত
ভট্টাচার্যের।
এরপর
মৃত্যু
নিশ্চিত
করতে
গলায়
সুতো
দিয়ে
শ্বাসরোধ
করা
হয়।
তারপর
দেহ
নিয়ে
৩৪
নম্বর
জাতীয়
সড়কে
দীর্ঘক্ষণ
ঘোরাঘুরি
করে
তারা।
গভীর
রাতে
কল্যাণগড়ে
জঙ্গলে
ফেলে
দেওয়া
হয়
দেহ।
দু'দিন
পর
উদ্ধার
হয়
জয়ন্ত
ভট্টাচার্যের
দেহ।
সেই
রহস্য
মৃতু্যর
তদন্তে
নেমে
পুলিশ
জানতে
পারে,
জয়ন্ত
ভট্টাচার্যকে
খুন
করা
হয়েছে।
মহিলা
সহকারীকে
আটক
করতেই
এই
হতাকাণ্ডের
কিনারা
হয়ে
যায়।