চারদিন ‘নির্জলা’ শিলিগুড়ি, মেয়রকে রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ তৃণমূলের
শিলিগুড়ি, ১২ সেপ্টেম্বর : শিলিগুড়ি শহরে চারদিন জল বন্ধ। প্রতিবাদে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে রাস্তায় ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার পুরসভার গেটের সামনে তাঁকে আটকে রাখা হয় এক ঘণ্টারও বেশি।
চারদিন ধরে জল না থাকায় এদিন পুরসভার গেট আটকে ঘটি, গ্লাস, বালতি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। গেট আটকে তৃণমূল কাউন্সিলররা বসে পড়েন। এমন সময় মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের গাড়ি পুরসভায় পৌঁছয়। প্রথমে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপর ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। মেয়রের পদত্যাগের দাবিতেও এদিন তাঁরা সরব হন। খবর পেয়েই মেয়র পারিষদ ও বাম কাউন্সিলররা ঘটনাস্থলে আসেন। পাল্টা রাস্তা অবরোধ করা হয় বামফ্রন্টের তরফে।
সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই হাসমিচক ও সেবক মোড় রাস্তা অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্তারা। নামানো হয় র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। তারপর পুলিশি প্রহরায় পুরসভায় ঢোকেন মেয়র। বিরোধী দলনেতা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসে রফাসূত্র বের করতে আগ্রহী হন অশোকবাবু। বিকেলের মধ্যেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানানোর পরে বিক্ষোভ তুলে নেন তৃণমূল কর্মীরা। এদিনই জল আসে শিলিগুড়িতে।
শিলিগুড়িতে এশিয়ান হাইওয়ের সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য পাইপ লাইন স্থানান্তরণের কাজ চলছিল। এই কাজ করছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। যান্ত্রিক সমস্যায় গত চারদিন শিলিগুড়িতে জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। স্বভাবতই জল না থাকার জন্য বাম পুরবোর্ডের তরফে আঙুল তোলা হয় ওই দফতরের দিকে। এই সঙ্কটের জন্য চড়া দামে জল কিনে খেতে বাধ্য হন পুরবাসিন্দারা।
আগেই বিভাগীয় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে দ্রুত কাজ শেষ করার আর্জি জানান মেয়র অশোকবাবু। তিনি জানান, বিক্ষোভের নামে অসভ্যতা করা হল। এটা প্রতিবাদের ভাষা নয়। এটা কখনও বঙ্গ সংস্কৃতিতে ছিল না। তিনি বলেন, "এই হেনস্থার প্রতিবাদে শহরে মিছিল করবে বামেরা। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ মিছিল হবে শিলিগুড়িতে। সিপিএম জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে বলে বর্ণনা করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা কৃষ্ণ পাল বলেন, নাগরিকরা জল পাচ্ছেন না, পুরসভা তো দায়িত্ব থেকেই যায়। পুরসভার মেয়র তাঁর দায়িত্ব পালেন ব্যর্থ। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।