বারুইপুরে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ, বাজি কারখানার আড়ালেই চলত ব্যবসা, দাবি গোয়েন্দাদের
বারুইপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর : ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল কলকাতার উপকণ্ঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মহেশতলার রবীন্দ্রনগরের পর বারুইপুরের বেগমপুর। ধানক্ষেতের মধ্যে নির্জন একটি বাড়িতে বাজি কারখানার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চলত এই অস্ত্র কারখানা। মণ্ডলপাড়ায় সেই কারখানায় হানা দিয়ে উদ্ধার হল বন্দুক, গুলি সহ অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম। গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ির মালিক-সহ চারজনকে।
ধানক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাড়ি। সন্দেহের সূত্রপাত সেখান থেকেই। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে বাজি কারখানা বলে প্রচার থাকলেও, আদতে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র মজুত থাকে। এই খবরের সূত্র ধরেই বুধবার রাতে বেগমপুর মণ্ডলপাড়ায় বাপি হালদারের বাড়িতে হানা দেয় বারুইপুর থানার পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল, ১৯ রাউন্ড গুলি, ১৬ রাউন্ড ছররা, এক বস্তা গুলির খোল। বন্দুক ও গুলি তৈরির প্রচুর কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতিও উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে।
বারুইপুরের বেগমপুরে অস্ত্র কারখানার তদন্তে নেমে চক্ষু চরকগাছ হয়ে যায় পুলিশের। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ভেবেছিল বাপি হালদারের বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র মজুত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ অবাক ওই বাড়ি থেকে এক বস্তা গুলির খোল উদ্ধার হওয়ায়। খালি কার্টিজ অর্থাৎ ব্যবহৃত গুলির খোল দিয়ে এখানে গুলি তৈরি হত। গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্তে মনে করছেন, আগ্নেয়াস্ত্রর পাশাপাশি গুলিও তৈরি হ'ত ওই কারাখানায়।
বাড়ির মালিক বাপি হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাপির ভগ্নীপতি নরেন্দ্রনাথ মণ্ডলকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। নরেন্দ্রনাথ পেশায় শিক্ষক। আর কারা কারা এই অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাপির পরিবারের দাবি, পুলিস যেটাকে অস্ত্র কারখানা বলে দাবি করছে, সেটা আদতে বাজি কারখানা। বাপি কোনওভাবেই অস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত নয়।