এবার হেডফোন নিয়ে বচসায় আত্মঘাতী দিদি, ধূপগুড়ির পুনরাবৃত্তি বারুইপুরে
ভাইয়ের সঙ্গে টিভি দেখা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে ধূপগুড়ির কিশোরী আত্মহত্যা করেছিল। এবার হেডফোন নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বচসার জেরে আত্মহত্যা করল কলেজ পড়ুয়া দিদি।
মাত্র দু'দিনের ব্যবধানে একই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল রাজ্যে। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর। ভাইয়ের সঙ্গে টিভি দেখা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে ধূপগুড়ির কিশোরী আত্মহত্যা করেছিল। এবার হেডফোন নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বচসার জেরে আত্মহত্যা করল কলেজ পড়ুয়া দিদি। রবিবার বারুইপুরের বৈদ্যপাড়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতার নাম অপর্ণা রায় (১৯)। তিনি বারুইপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
রবিবার সকালে দু'ভাইবোনেই পড়তে বসেছিল। তখন আচমকাই ভাই সৌমিত্র দিদির হেডফোনটি নেয়। তা নিয়েই শুরু হয় দু'জনের বচসা। ঝগড়া করে ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে অপর্ণা গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
বারুইপুর থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নিছকই হেডফোন নিয়ে বচসা, নাকি এই আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মাত্র দু'দিন আগেই জলপাইগুড়িতে ঘটে গিয়েছে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা। সিরিয়াল আর কার্টুন দেখা নিয়ে দু'ভাইবোনের ঝগড়ার জেরে দিদি আত্মঘাতী হয়েছিল।
ভাই-বোনের মধ্যে এ ধরনের খুনশুটি প্রায়ই লেগে থাকে। তা বলে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার মতো ঘটনা কেন? কেন সাধারণ গণ্ডগোলের জেরেই অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েরা? এই ঘটনাকে মনোবিদরা ভয়ঙ্কর প্রবণতা বলে ব্যাখ্যা করছেন।