অবরোধ প্রত্যাহার ভাঙড়ে, ৩০ শে কলকাতায় রেড স্টারের মহামিছিল
অবরোধে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও আন্দোলন চলতে থাকবে। প্রশাসন যদি ফের গ্রামে ঢুকে বলপ্রয়োগের চেষ্টা করে, তবে গ্রামবাসী তা প্রতিরোধের জন্য তৈরি আছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৭ জানুয়ারি : অবরোধে প্রত্যাহার করে নেওয়া হল ভাঙড়ে। শুক্রবার সিপিআইএমএল রেড স্টারের নেতা অলীক চক্রবর্তী ঘোষণা করেন, এলাকাবাসীর স্বার্থে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। প্রশাসন যদি ফের গ্রামে ঢুকে বলপ্রয়োগের চেষ্টা করে তবে গ্রামবাসী তা প্রতিরোধের জন্য তৈরি আছে।[ভাঙড় : আরও দুই নকশাল নেতা গ্রেফতার]
সিপিআইএমএল-এর পক্ষ থেকে আগামী ৩০ জানুয়ারি মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। খামারআইট এলাকায় মিটিংয়ের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এবং একই সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেত মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়। ঘোষণা হওয়ার পরই গ্রামবাসীরা মিছিল করে হাড়োয়া রোডের ১৮টি পয়েন্ট থেকে গাছের গুঁড়ি, ইট, পোস্ট সরিয়ে অবরোধে প্রত্যাহার করে নেন।[গ্রেফতার সিপিআইএমএল রেডস্টারের শর্মিষ্ঠা]
বৃহস্পতিবার 'বহিরাগত' তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত এলাকায় মিছিল করে যাওয়ার পর থেকেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। পুরনো কায়দায় রাস্তা কেটে, গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ শুরু হয় ভাঙড়ের হাড়োয়া রোডে। সেইসঙ্গে অবরোধকারীদের হুঁশিয়ারি দেয় অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবরোধ চলবে।[সিঙ্গুরের ছায়া ভাঙড়ে]
কেন বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকবে এই দাবিতেই অবরোধ-বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামবাসীরা। সেইসঙ্গে তাঁরা দাবি তুললেন, মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছিলেন, গ্রামের মানুষের গায়ে যেন হাত না পড়ে। তাহলে কেন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হল?[ভাঙড়ে যে গুজবের কারণে পাওয়ার গ্রিডের জমি নিয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা]
এই দুই দাবিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খামারআইট, মাছিডাঙা, বকডোবা, নতুনহাট, শ্যামনগর প্রভৃতি এলাকা। শেষমেশ গ্রামবাসীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তুলে নেওয়া হয় অবরোধ।