মুর্শিদাবাদে টিএমসিপি নেতা খুনে আটক অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ শিলাদিত্য হালদার
মুর্শিদাবাদে টিএমসিপি নেতা আসাদুল শেখকে খুনের ঘটনায় আটক করা হল অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ শিলাদিত্য হালদারকে। কংগ্রেসের আরও এক নেতা বীরু হালদারকে এই ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদে টিএমসিপি নেতা আসাদুল শেখকে খুনের ঘটনায় আটক করা হল অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ শিলাদিত্য হালদারকে। কংগ্রেসের আরও এক নেতা বীরু হালদারকে এই ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ। অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয়। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। কংগ্রেস নেতাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। পুরভোটের আগে এই হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ। টিএমসিপি নেতা আসাদুল শেখ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল আসাদুল। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আসাদুলের বাড়ি বহরমপুরের ভাকুরি এলাকায়। সেখানেই তাঁর একটা দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি যখন দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন তখনই রাস্তার মাঝে এই হামলা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শিলাদিত্য হালদার ও বীরু হালদারকে আটক করেছে। শিলাদিত্য হালদার অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ নেতা। তিনি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি। বীরু হালদারও প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর।
পুলিশ দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, তৃণমূল তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনা কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। ভোটের আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই এইসব করা হচ্ছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে কী কারণ এই হত্যা। রাজনৈতিক কারণই মুখ্য, নাকি এর পিছনে কোনও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন বহরমপুর যাচ্ছেন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এলাকায় প্রতিবাদ সভা করবেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চাইছে। টিএমসিপি করায় আসাদুলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।