দেবের মতে কী ধর্ষণ মানেই চিৎকার নয়তো উপভোগ করা?
'এবেলা' ট্যাবলয়েডে ২৪ মার্চ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে (এখানে ক্লিক করে সাক্ষাৎকারটি পড়ুন) দেব বলেন, এতদিন শুধু অভিনয় ও দর্শক ছিল। এবার রাজনীতিও সঙ্গে এসেছে। ফলে সব মিলিয়েই চলতে হবে। কিন্তু সাংবাদিকদের নজর আরও বেড়ে যাওয়ায় তিনি রীতি মতো পাগল হয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কথায় ৮০ শতাংশ মিডিয়ায় ঘাটালে চলে এসেছে। দেব ঘাটাল থেকে দাঁড়িয়েছে এটা হট টপিক হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই দেবের মন্তব্য, 'ইটস জাস্ট লাইক বিইং রেপড ইয়ার। ইউ ক্যান সাউট অর ইউ ক্যান এনজয় (হাসি)। ব্যাস এর বেশি আর কী?' অর্থাৎ তিনি হাসতে হাসতে বলছেন, নিজেকে ধর্ষিত বলে মনে হচ্ছে। তুমি চেঁচাতে পার বা উপভোগ করতে পার। এর বেশি আর কী?
অর্থাৎ দেব কি তাহলে বলতে চাইছেন ধর্ষণ মানে নয় চেঁচানো নয় উপভোগ করা? আর দেবের এই মন্তব্য জুড়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল সাইটেও। সাক্ষাৎকারের অংশটুকু তুলে শেয়ার করছেন অসংখ্য ফেসবুক ইউজার।
ইটস জাস্ট লাইক বিইং রেপড ইয়ার। ইউ ক্যান সাউট অর ইউ ক্যান এনজয় : দেব
কেন এ ধরণের মন্তব্য করলেন দেব। তিনি যে মিডিয়ার জ্বালাতনে পাগল হয়ে যাচ্ছেন তা বোঝাতে অন্য কোনও উদাহরণই কী পেলেন না বাংলার ইউথ আইকন। লোকসভা ভোটের আগে দেবের এই ধরণের মন্তব্যে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। বিশেষ করে মহিলা ভোটে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাঙালি হলেও প্রবাসী হওয়ায় বাংলায় কথা বলার সমস্যা চিরকালই রয়েছে দেবের। রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়া তো দূরে থাকা বাংলায় গড় গড় করে দু-চার কলি বলতে গেলেই গুলিয়ে গন্ডগোল করে দেন টলিউডের এই হার্টথ্রব। এমনকী তৃণমূলের মঞ্চে যেবার প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন দেব, অর্থাৎ ব্রিগেডে ২১ জুলাই মঞ্চে সেখানে দলনেত্রী দেবকে কিছু বলতে অনুরোধ করায় তিনি পাগলু ছবির গান গেয়ে বসেছিলেন। তাতেও কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি দেবকে। কিন্তু তাও বেশ হাল্কা চালে কেটে গিয়েছিল।
কিন্তু এদিন যেভাবে হাসির ছলে ধর্ষণের মতো অত্যন্ত স্পর্ষকাতর বিষয়কে ঠাট্টার পর্যায়ে নিয়ে গেলেন দেব, তাতে সমস্যার মুখে দেবকে পড়তে হতে পারে। ছবির দর্শকে এর কতটা প্রভাব পড়বে তা জানা না থাকলেও সাধারণ মানুশ ষে অনেকাংশেই তৃণমূল ভোট প্রার্থী দেবের থেকে মুখ ঘোরাতে পারেন তা মনে করছেন অনেকেই।
তৃণমূলনেত্রী লোকসভা ভোটে দেবের স্টার ভ্যালুকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তাই দেবকে প্রার্থী করা। কিন্তু কংগ্রেস ওই কেন্দ্র থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে দাঁড় করিয়ে কিছুটা হলেও তৃণমূলের জন্য অস্বস্তি তৈরি করেছে। তার উপর আবার দেবের এহেন মন্তব্য গোদের উপর বিষফোঁড়া বলেই মনে করছেন তৃণমূলের অন্দরের একাংশই।