বাইক থামিয়ে মাথায় গুলি, তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিকাণ্ড কেতুগ্রামে
দুষ্কৃতীর গুলিতে তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখ খুনের ঘটনার পর থেকেই জ্বলছে বর্ধমানের কেতুগ্রাম। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের তির এক তৃণমূল নেতার দিকেই।
বর্ধমান, ১৩ এপ্রিল : দুষ্কৃতীর গুলিতে তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখ খুনের ঘটনার পর থেকেই জ্বলছে বর্ধমানের কেতুগ্রাম। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগের তির এক তৃণমূল নেতার দিকেই। বুধবার রাতে তৃণমূল নেতা খুনের পরই অভিযুক্তের বাডিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। অগ্নিসংযোগ করা হয় দু'টি মোটরবাইকেও। দমকলের ইঞ্জিন পাঠিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। কেতুগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখ রাতে এক সঙ্গীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাইকে করে ফেরার সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা তাঁর পূর্ব পরিচিত ছিল। বাইক থামিয়ে গুলি করা হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির দলেরই এক নেতার দিকে। ওই কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গির শেখই এর পিছনে রয়েছে বলে মনে করছেন জাহিরের অনুগামীরা। সেই সন্দেহের বসেই ক্ষোভের আগুন গিয়ে পড়েছে জাহাঙ্গিরের বাড়িতে। বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাইকেও আগুন ধরানো হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। যে দোষী সাব্যস্ত হবে, তার যথাযোগ্য শাস্তি হবে। দলের কেউ হলেও এই ঘটনায় তাকে রেয়াত করা হবে না। এদিকে বুধবার রাতভর এলাকায় উত্তেজনা ছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ পিকেট।