অভিযান শুরুর আগেই নবান্নে ঢোকার চেষ্টা, সুজন-সহ ৫ বাম বিধায়ক গ্রেফতার
নবান্নে ঢোকার সমস্ত গেট বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ রুখে দেয় বাম বিধায়কদের এই ‘আগাম অভিযান’। গ্রেফতার করা হয় সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য, মানস মুখোপাধ্যায়, আনিসুর রহমান ও অশোক ভট্টাচার্যদের।
অভিযান শুরুর আগেই নবান্নে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সুজন চক্রবর্তী-সহ সিপিএমের পাঁচ বিধায়ককে। সোমবার নবান্নে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হয় রাজ্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী-সহ পাঁচজন বাম বিধায়ককে। অভিযোগ, পুলিশের নজর এড়িয়ে তাঁরা ঢুকতে চেয়েছিলেন নবান্নে। বামকর্মীদের নিয়ে নবান্নে ঢুকে উত্তেজনা ছড়ানোই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।
নবান্নে ঢোকার সমস্ত গেট বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ রুখে দেয় বাম বিধায়কদের এই 'আগাম অভিযান'। শুধু তাই নয়, এরপর তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য, মানস মুখোপাধ্যায়, আনিসুর রহমান ও অশোক ভট্টাচার্যদের। সেইসঙ্গে বাম নেতা-কর্মীদেরও আটক করা হয়েছে।
এদিন দুপুর একটায় শুরু হওয়ার কথা বামফ্রন্টের নবান্ন অভিযান। কিন্তু ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ আচমকাই নবান্নে চলে আসেন সুজন চক্রবর্তী-তন্ময় ভট্টাচার্যরা। তাঁরা নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করেন। প্রথমে পুলিশ বুঝতে পারেনি তাঁদের উদ্দেশ্য। কিন্তু কর্মীদের নিয়ে নবান্নে ঢুকতে চাইলে বাধা দেওয়া হয় সিপিএম বিধায়কদের। ধস্তাধস্তি বেধে যায় পুলিশের সঙ্গে।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু থেকে শুরু করে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিধায়কদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তোলেন। বিধায়কদের মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। এরপর অন্যরকম কিছু ঘটলে সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে সরকার। সূর্যকান্ত বলেন, নবান্নে ঢোকার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে বিধায়কদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনাকে নবান্নের সামনে এসে বামেদের অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা বলে বর্ণনা করেন।
{promotion-urls}