৬ মাস পরে জামিন ২ জনের, ভাঙড় কাণ্ডে নিম্ন আদালতকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
ভাঙড়কাণ্ডে নিম্ন আদালতকে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ইউএপিএ আইনে ধৃত ২ জনকে জামিন দিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, নিম্ন আদালত প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে
ভাঙড়কাণ্ডে নিম্ন আদালতকে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার ইউএপিএ আইনে ধৃত শর্মিষ্ঠা চৌধুরী ও প্রদীপ সিং ঠাকুরকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, নিম্ন আদালত প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ২৫ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল সিপিআইএমএল রেড স্টারের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীকে।
পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের মতো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কেন ইউএপিএ-র মতো দেশদ্রোহিতার শক্ত ধারা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। শর্মিষ্ঠাদের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এপ্রিল মাসে বারুইপুর আদালতের এজলাসে আবেদন জানায় পুলিশ। কিন্তু একাধিক নথিতে দুরকম হাতের লেখা মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির সন্দেহ হয়। নথি ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যায়, যে রিপোর্ট আদালতের তৈরি করার কথা, পুলিস নিজেই সেই অর্ডার লিখে ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছে। তা দেখে কার্যত হতভম্ব হয়ে যায় হাইকোর্ট। এই ঘটনাকে প্রশাসনের কাছে নিম্ন আদালতের আত্মসমর্পণ বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।
কিছুদিন আগে ভাঙড় সংহতি কমিটির আহ্বায়ক শঙ্কর দাস ও কুশল দেবনাথকে জামিন দিয়েছিল বারুইপুর আদালত। এছাড়াও আবুল শেখ ও আবুল হোসেন মোল্লাসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে সিপিআইএল রেডস্টারের রাজ্য সম্পাদক প্রদীপ সিং ঠাকুর ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শর্মিষ্ঠা চৌধুরীর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায় নিম্ন আদালতে। এর পরেই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন দুজনের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ৬ মাস পর আলিপুর সংশোধনাগার থেকে জামিন পেলেন সিপিআইএমএল রেড স্টারের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রী।