রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃত ১০ জন, নিখোঁজ ২,সঙ্কটে ১৫ লক্ষ মানুষ
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন ১০ জন। মৃতরা হুগলী, নদিয়া ,পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে খবর।
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন ১০ জন। মৃতরা হুগলী, নদিয়া ,পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে খবর। নবান্ন সূত্রে এখবর পাওয়া গিয়েছে বলে উদ্ধৃত করেছে দেশের এক প্রথম সারির সংবাদপত্র। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্লাবনের জেরে সঙ্কটের মুখোমুখি রাজ্যের ১৫ লক্ষ মানুষ। বানভাসি এলাকায় ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলেও খবর।
[আরও পড়ুন:গুজরাতের বন্যা পরিস্থিতি নিচ্ছে ভয়ঙ্কর রূপ, একই পরিবারের ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার]
রাজ্যের প্রায় ১০৬ টি ব্লক এখনও জলমগ্ন। তবে রাজ্যে এই পরিস্থিতি হওয়ার জন্য নবান্ন, ডিভিসিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে , সেচ , কৃষি বিপর্যয় মোকাবিলা সহ বেশ কটি দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মলয় দে। উল্লেখ্য, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলী, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জল ঢুকে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে হওড়াতেও। বন্যার জেরে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে। জলমগ্ন রাজ্যের প্রায় ১৬৮টি গ্রাম।
এই পরিস্থিতিতেও এখনও ডিভিসি জল ছাড়ছে বলে খবর। ফলে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ত্রাণ মোট ৫০টি জায়গায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। এদিকে, গোঘাট, চন্দ্রকোণায় ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে অসন্তোষের জেরে বিক্ষোভের ছবি সামনে আসছে। প্লাবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বাঁকুড়া।
তবে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের মাথার ওপর থেকে নিম্নচাপ ধিরে ধিরে মধ্যপ্রদেশের দিকে যাচ্ছে। তবে তাতেওহালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির দাপট আগের থেকে কমার ফলে বাঁকুড়া , বীরভূম পুরুলিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়েছে।