যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা: পাঞ্জাবে সড়কপথকে রানওয়ে বানিয়েছে পাক সেনা, জানাল লাহোরের সংবাদমাধ্যম
উরিতে জঙ্গিহানায় প্রায় বিশজন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে যখন তুমুল ঝড় বইছে, তখনই সীমানার ওপারে নড়েচড়ে বসল পাকিস্তানী প্রশাসনও।
'ডেলি পাকিস্তান' নামক লাহোরের একটি দৈনিকে মঙ্গলবার (২০শে সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উরিকাণ্ডের পর ভারতের যুদ্ধং দেহি হাবভাবের প্রত্যুত্তরে পাক বাহিনী ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব প্রদেশের কালা শাহ কাকু থেকে শেখুপুরা পর্যন্ত একটি প্রধান সড়কপথকে সেনাবাহিনীর বিমান চলাচলের রানওয়ে বানিয়ে ফেলেছে। সড়কপথের সাদা এবং হলুদ বিভাজনও মুছে ফেলা হয়েছে বলে পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর মহড়াও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তান জবাব দিতে তৈরী, জানালেন জেনারেল শরিফ
গত সোমবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানী সেনানায়ক রাহিল শরিফ রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মিটিংয়ে বলেন যে ইসলামাবাদ যে-কোনও আক্রমণের - তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ - সমুচিত জবাব দিতে তৈরী। পাকিস্তানের সামরিক সংবাদ সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস-এর একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে প্রতিবেদন 'ডন' পত্রিকার।
জেনারেল শরিফ পাকিস্তানের সেনা সদরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মিটিংয়ে জানান যে পাকিস্তানী সেনা নেতৃত্ব সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের ফলে পাকিস্তানের নিরাপত্তার উপর কি প্রভাব পড়তে পারে তাও খতিয়ে দেখছে। শরিফ পাক সেনার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
উরিতে জঙ্গি আক্রমণের পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে প্রবল বাদানুবাদ শুরু হয়। একদিকে ভারত পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় জঙ্গিবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগ করে, অন্যদিকে পাকিস্তানের বক্তব্য ভারত কাশ্মীরে তার 'নিপীড়ন' নীতির বিরুদ্ধে ক্রমশ বেড়ে চলা বিক্ষোভের থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গিয়ে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলতে চাইছে।
ভারত এবং পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত তিন-তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং তিনবারই পাকিস্তান পর্যুদস্ত হয়েছে। এছাড়াও ১৯৯৯ সালে কার্গিলে এই দুই দেশের মধ্যে একটি সীমান্তবর্তী লড়াইও (নন-ইন্টারন্যাশনাল আর্মড কনফ্লিক্ট) হয় এবং তাতেও পরাজিত হয় পাক বাহিনী।