ইসলামাবাদের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান, পাক সাংবাদিকের টুইটে আলোড়ন
নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর : উরিতে জঙ্গিহানায় একাধিক ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর ভারত-পাক উত্তেজনার পারদ চড়ছে তো চড়ছেই। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত্রে তার আরও কিছু নমুনা দেখা গেল।
বর্ষীয়ান পাকিস্তানী টিভি সাংবাদিক হামিদ মীর একটি টুইটে লেখেন যে ইসলামাবাদ শহরের উপর দিয়ে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উড়ে যাচ্ছে।
পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ঘোর উত্তেজনার বাতাবরণে মীরের এই টুইট চারদিকে শোরগোল ফেলে দেয়। চারদিক থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করলে মীর একটি রিটুইটের মাধ্যমে সবাইকে আস্বস্ত করে বলেন যে চিন্তার কিছু নেই, ব্যাপারটা নিতান্তই সেনাবাহিনীর মহড়া। "পাক সেনা ইসলামাবাদবাসীকে বোঝাতে চায় যে তাঁরা সম্পূর্ণভাবেই প্রস্তুত," জানায় টুইটটি।
ধসল করাচি শেয়ার বাজার
কিন্তু ইসলামাবাদের আকাশে মহড়া চললেও দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচি শহরের শেয়ার বাজারে সত্যিকারের ধস নামে, কারণ ওই একই -- দু'দেশের সম্পর্কের উত্তপ্ততা। ইসলামাবাদের সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার জানায় যে উরি-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পাকিস্তানী সেনার "আগ্রাসী" মহড়া এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর সহ সেদেশের উত্তর দিকের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কারণে অর্থনীতিতে এক ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
পাকিস্তানী প্রথম শ্রেণীর দৈনিক 'ডন' জানায় যে সে-দেশের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর কোনও সরকারি বিবৃতি না আশায় চারদিকে বিভ্রান্তি আরও বাড়ছে। একজন পাক সেনা আধিকারিক অবশ্য জানান যে ভারতের দিক থেকে "হুমকি" আসার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ চরম নজরদারি চালাচ্ছে সর্বপ্রান্তে। 'ডন' জানায় পাকিস্তানের কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিশদে জানতে হলে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে।
এদিকে, আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা লাগু করা ছাড়াও পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ তাদের দু'টি বড় সড়কপথকে বন্ধ করে তা যুদ্ধবিমান ওঠানামার কাজে লাগাচ্ছে বলে ও-দেশের সংবাদসংস্থাগুলি জানিয়েছে। সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন এসবই তাঁদের মহড়ার অন্তর্গত। অপরদিকে, আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞার ফলে ইসলামাবাদ থেকে গিলগিট এবং স্কার্দু পর্যন্ত বিমান পরিষেবা আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।
এই সামরিক আয়োজনের ফলে পাকিস্তান জুড়ে যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয় এবং তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে করাচির শেয়ার বাজারে। বেশ বড়রকমের পতন হয় সূচকের। ভারত-পাক যুদ্ধ আসন্ন বলে যে খবর চারদিকে চাউড় হচ্ছে এবং তার ফলে যে আশঙ্কা-ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শেয়ার বাজার বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।