যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ বিজেপি অফিসের সামনে, ধুন্ধুমার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, পুলিশের লাঠিচার্জ
প্রথমে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, তারপর পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীবৃন্দ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।
কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর : বিজেপি অফিসের সামনে যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভে মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। প্রথমে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, তারপর পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীবৃন্দ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসকর্মীরা। কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
পুলিশের অনুমতি নিয়েই সোমবার যুব কংগ্রেস এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কংগ্রেসের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের কাছে থেকে ঘুষ নিচ্ছেন, আর সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলেছেন নোট বাতিল করে। তাই প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি দাবি করেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেইমতো সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বিজেপি-র রাজ্য অফিসের সামনে এদিন বিকেলে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে যুব কংগ্রেস।
যুব কংগ্রেস কর্মীদের এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি-র কিছু কর্মী। শুরু হয় বচসা। তা থেকেই হাতাহাতি, ইটবৃষ্টি। ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। উপস্থিত পুলিশের পক্ষে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ক্রমশই হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে আরও পুলিশ এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ।
দু'পক্ষের উত্তেজনা সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। প্রতিবাদে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মোড়ে বসে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। স্লোগান দিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় বিক্ষোভকারীদের। রাস্তায় বিশাল যানজট তৈরি হয়। দুই রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্ব সামাল দেওয়ার পর যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিপ খেতে হয় পুলিশকে।