কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে হয় জানেন না, পার্রিকরকে পাল্টা আক্রমণ মমতার
‘সেনার জাতীয়তাবাদী মনোভাবকে আমরা সম্মান করি। আমার অভিযোগ সেনার বিরুদ্ধে ছিল না। আমার অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে।’
কলকাতা, ১০ ডিসেম্বর : শুরু হল সেনা সমীক্ষা নিয়ে পত্রযুদ্ধ। পত্রযুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকর বনাম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পার্রিকরের চিঠির কড়া জবাব দিলেন মমতা। জবাবি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন- 'সেনার জাতীয়তাবাদী মনোভাবকে আমরা সম্মান করি। আমার অভিযোগ সেনার বিরুদ্ধে ছিল না। আমার অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে।'
গতকালই রাজ্যের টোলপ্লাজায় সেনা মোতায়েন নিয়ে মমতাকে চিঠি লিখেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। লিখেছিলেন- 'সেনাদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে সেনার মনোবল ধাক্কা খাবে। সেনা সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে মুখ্যমন্ত্রীর আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।' পত্রপাঠ করেই মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেন পার্রিকরের চিঠির।
জবাবে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, আপনার চিঠি পেয়ে আমি বিস্মিত হয়েছি। আপনি উল্লখে করেছেন সেনাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য করার আগে আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। আমরা এ কথা জানি যে, ভারতীয় সেনা জাতির গর্ব। সেনার জাতীয়তাবাদী মনোভাবকে আমরা সম্মান করি। সেনাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ ছিল না। আমাদের সমস্ত অভিযোগ কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে। কারণ কেন্দ্রের নির্দেশেই সেনা কাজ করে।'
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা আরও লেখেন, 'আমি অবাক যে সেনাবাহিনীর মতো একটা দায়িত্বশীল সম্মানজনক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র নিজেদের রাজনৈতিক চরিতার্থে কাজ করাচ্ছে।' তাঁর প্রশ্ন, কেন রাজ্যকে আগাম খবর না দিয়ে রাজ্যের টোলপ্লাজায় নামিয়ে দেওয়া হল সেনা? অসামরিক এলাকায় সেনা নামাতে গেলে রাজ্যের অনুমতি নিতে হয়, তা কি জানে না কেন্দ্র? রাজ্যের সচিবালয়ের মাত্র ২০০ মিটার দূরে সেনা নামানো হল, অথচ জানতে পারল না রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব। কেন প্রশাসনের সর্বোচ্চস্তরে চিঠি দিয়ে জানাল না আপনার দফতর, সরাসরি মনোহর পার্রিকরেক প্রশ্ন ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাবধান করেন দেন, এ ধরনের কাজ করার আগে ভবিষ্যতে যেন রাজ্য সরকারের লিখিত ছাড়পত্র নেওয়া হয়।