বরকতিদের ইন্ধন জুগিয়ে কোন স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন তুললেন বাবুল
সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বরকতির মতো সংখ্যালঘু ধর্মগুরুদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগুন নিয়ে খেলেছেন। ইন্ধন জোগাচ্ছেন বরকতিদের অপরাধমূলক কথাবার্তায়।
সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বরকতির মতো সংখ্যালঘু ধর্মগুরুদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগুন নিয়ে খেলেছেন। ইন্ধন জোগাচ্ছেন বরকতিদের অপরাধমূলক কথাবার্তায়। এর ফল সাংঘাতিক হতে পারে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
তিনি বলেন, বরকতিকে আমি সংখ্যালঘু বলে মনে করি না। উনি যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তাতে ওনাকে একজন 'ক্রিমিনাল' বলাই উচিত। উনি আসলে একজন অপরাধী। ওনার মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে ওনাকে গ্রেফতার করতে হবে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে স্পিকটি নট। আসলে উনি মুসিলম ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে কিছু বলছেন না। কিন্তু বুঝতে পারছেন না, উনি আগুন নিয়ে খেলা করছেন। এর ফল হবে মারাত্মক।
বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ভারত বহু ভাষাভাষি, বহু ধর্মের দেশ। এখানে বহু রাজনৈতিক দলও রয়েছে। তাদের সবারই আদর্শগত ফারাক থাকতে পারে, আছেও। কিন্তু প্রত্যেকের কাছে দেশ সবার আগে। একজন দেশবাসীর কাছে কখনই দেশবিরোধী কথা কাম্য নয়। আর বরকতির মতো মানুষরা দিনের পর দিন দেশবিরোধী কথা বলে চলেছেন। অথছ ওঁদের কোনও শাস্তি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আসলে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের তোষণ করা হচ্ছে। সেই সংখ্যালঘু তোষণের জেরে অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। শুধু সংখ্যালঘু তথা মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা করছেন, তা আইনবিরুদ্ধ। অনেক অপরাধী এর ফলে প্রশ্রয় পাচ্ছেন। এর জন্য অনেক বেশি মূল্য চোকাতে হবে তাঁকে।
এদিন বাবুল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে আরও বলেন, 'দিদি বোঝাতে চাইছেন আমরা হিন্দুত্ববাদী দল। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট দাবি, সব কা সাথ সব কা বিকাশ। সারা দেশের নাগরিকদের সমান অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করছি। আজ প্রধানমন্ত্রীও লালবাতির গাড়ি ছেড়েছেন। তাহলে বরকতি ছাড়বেন না কেন?