সারাদিনের বড়দিন সেলিব্রেশন পার্কে, বিকেলের ডেস্টিনেশন পার্কস্ট্রিট
উৎসবপ্রেমী বাঙালি শনিবারের সকালে থেকেই সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছেন। সকালে তাঁদের গন্তব্য পর্যটন কেন্দ্রে। আর বিকেলে সূয্যি পশ্চিমে ঢলে পড়লেই তাঁদের ডেস্টিনেশন পার্কস্ট্রিট।
কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর : বড়দিন। রাত পোহালেই শুভ বড়দিন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন এটি। গ্লোবালাইজেশনে সারা বিশ্বব্যাপী এক অন্য আঙ্গিকে পালিত হয় এই ২৫ ডিসেম্বর। তাই বড়দিনের আগেই উৎসবের মেজাজ রোমাঞ্চিত তিলোত্তমা মহানগরী। শহরের সমস্ত চার্চ, পার্কস্ট্রিট তো সেজে উঠেছেই, কলকাতার পর্যটনকেন্দ্রগুলিও মাতোয়ারা বড়দিন পালনে।
উৎসবপ্রেমী বাঙালি শনিবারের সকালে থেকেই সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছেন। সকালে তাঁদের গন্তব্য পর্যটন কেন্দ্রে। আর বিকেলে সূয্যি পশ্চিমে ঢলে পড়লেই তাঁদের ডেস্টিনেশন পার্কস্ট্রিট। একদিন আগে থেকেই বড়দিনের উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে পা বাড়িয়েছেন সবাই। শুধু শিশুমনই নয়, বড়দিনের পার্টির মজা নিতে বড়রাও আজ কলকাতামুখী।
এখনও একটা রাতের অপেক্ষা। তবে আসবে বহু আকাঙ্খিত সেই দিন। কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর যে রবিবার। তার পর উৎসবের দিন। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন পর্যটনপ্রেমী মানুষেরা একদিন আগেই বেরিয়ে পড়েছেন সেলিব্রেশনে। সকালেই পরিবার-পরিজন নিয়ে সটান চিড়িয়াখানা বা নিক্কোপার্ক। অ্যালান পার্ক বা ভিক্টোরিয়াতেও ভিড় সকাল থেকেই। কলকাতা শহর বা শহরতলির সমস্ত বিনোদন পার্কই ভিড়ে ঠাসা। উৎসবের আঁচ লেগেছে শহরজুড়ে। বড়দিনের উন্মাদনার পারদও উর্ধ্বমুখী শহরের।
শুধু কি পার্ক বা পর্যটনকেন্দ্র, এদিন যে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়ারও রেওয়াজ রয়েছে। উপহার, কেক, এছাড়া বিশেষ বিশেষ খাবার- আয়োজন যে বিশাল। শুধু একটি দিন ঘিরেই কতদিনের প্রস্তূতি।
বড়দিন উপলক্ষে সৃষ্টিকর্তীর মহিমা প্রচার হয়। যে সব মহামানব পৃথিবীতে এসেছেন পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে, তাঁর মধ্যে অন্যতম যিশু খ্রিস্ট। জগতের মাঝে তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা। সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতির পূর্ণ অন্তর বিকাশের শিক্ষাই দেয় ২৫ ডিসেম্বর।
২৫ ডিসেম্বর সামনে রেখে তাই সারা বিশ্বের মতোই কলকাতা সেজে ওটে। ক্রিসমাস ইভে পালনে সেজে ওঠে পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু করে শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পসরা সাজিয়ে বিকিকিনি চলে। শেষমুহূর্তের কেনাকাটার ভিড় শপিংমলগুলিতেও। প্রিয়জনের জন উপহার কেনার ভিড়। কেকের দোকানগুলিও ভিড়। শহরের চার্চ থেকে বাড়িঘড় সেজে ওঠে রঙিন আলোয়।
চার্চ সাজিয়ে প্রার্থনার প্রস্তুতি চলে। আনা হয় ক্রিসমাস ট্রি। বহু রঙ, আলো আর ক্রিসমাস ট্রিতে এক মোহময়ী রূপ নেয় তিলোত্তমা। উপহার প্রদান, প্রার্থনী গীতি, খ্রিস্টমাস কার্ড, গির্জায় ধর্ম উপাসনা আর আলোকসজ্জা। ভগবান যিশুর জন্মদিনে মাতোয়ারা গোটা বিশ্ব।