প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফল, ফের কলকাতাকে টেক্কা জেলার, পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর
ফের একবার কলকাতাকে টেক্কা দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেও এগিয়ে জেলার ছাত্রছাত্রীরা। পাশের হারে সবার উপরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।
মাধ্যমিকে পর এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলেও জেলার জয়জয়কার। ফের একবার কলকাতাকে টেক্কা দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেও এগিয়ে জেলার ছাত্রছাত্রীরা। পাশের হারে সবার উপরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এছাড়া ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের মোট ১৫টি জেলা।[উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হুগলির অর্চিস্মান পাণিগ্রাহী, দেখে নিন মেধা তালিকা]
এদিন প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। পরীক্ষা সমাপ্ত হওয়ার ৬১ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। মোট ৫৮টি বিষয়ে এবছর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছেলে-মেয়ের পাশের হার ৫০ শতাংশ করে। এছাড়া স্কুল ড্রপ আউটের মাত্র ২ শতাংশ কমেছে বলেও এদিন কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে।[আজ উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, কোন ওয়েবসাইটে জানবেন ফলাফল?]
এবছর মোট ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জনের নাম এনরোল করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬২০ জন পরীক্ষায় বসেছিল। মোট পাশ করেছে ৬ লক্ষ ২২ হাজার ৪৩৫ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে ছাত্রদের পাশের হার ৮৫.১৫ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৮৩.২৬ শতাংশ। সবমিলিয়ে গড়ে পাশের হার ৮৪.২০ শতাংশ।
এবছর কোনও ফলাফল অসম্পূর্ণ নেই। পাশের হারে ফের একবার সব জেলাকে টেক্কা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি। এছাড়া হাওড়া, হুগলি, আসানসোল, বর্ধমান দক্ষিণ, কলকাতা, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ মোট ১৫টি জেলায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার বেশি।
সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের এবছরের পাশের হার ৭৯.১৫ শতাংশ। ওবিসির পাশের হার ৭৯.৫৮ শতাংশ। সবমিলিয়ে প্রথম ডিভিশনে পাশ করেছে ৪২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। উর্দুতে পাশের হার ৮০.৬৩ শতাংশ। প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছে ৯৪.৪০ শতাংশ নম্বর। নেপালি ভাষায় পাশের হার ৮৫.২৮ শতাংশ। প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছে ৮৯ শতাংশ নম্বর। সাঁওতালি ভাষায় পাশের হার ৭৬.৬৮ শতাংশ। প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছে ৮৬.৬ শতাংশ নম্বর।
এবছর A+ গ্রেড পেয়েছে ৩৫,৮৮১জন, A গ্রেড পেয়েছে ৮২, ৬৭৮ জন, B+ গ্রেড পেয়েছে ১.১৯,৬৬৫ জন, B গ্রেড পেয়েছে ১, ৬৪, ৪০৯ জন, C গ্রেড পেয়েছে ১,৬৮, ৪৩৭ জন ও পাশ মার্কস পেয়েছে ২০২৪ জন।
হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অর্চিস্মান পাণিগ্রাহী ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এরপরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দুজন। শ্রীরামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ময়াঙ্ক চট্টোপাধ্যায় ও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের উপমন্যু চক্রবর্তী। দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হুগলি আরামবাগের শুভম সিনহা ও বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সুরজিত লোহার। দুজনেই পেয়েছে ৯৭.৮ শতাংশ নম্বর।