হঠাৎ বেসুরো উপাচার্য, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত সুরঞ্জন দাসের
হঠাৎ সুর কেটে গেল অনুষ্ঠানের। বেসুরো বাজতে শুরু করলেন খোদ উপাচার্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্যের সামনেই নিরাশা ব্যক্ত করে বসলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর : হঠাৎ সুর কেটে গেল অনুষ্ঠানের। বেসুরো বাজতে শুরু করলেন খোদ উপাচার্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্যের সামনেই নিরাশা ব্যক্ত করে বসলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এদিন আশাহত গলায় তিনি বললেন, যতদিন পারব দায়িত্ব সামলাবো, যেদিন অপারগ মনে হবে সরে যাব নীরবে।'
কেন যাদবপুর উপাচার্যের গলা এমন আনন্দ মুখর দিনে বেসুরো বাজছে। প্রশ্নটা ওঠাই স্বাভাবিক। প্রশ্নটা উঠেও পড়ল। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নানা কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। বার বার বিতর্ক দানা বেঁধেছ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। হোক কলরব থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ বিধি- বিতর্ক পিছু ছাড়েনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বারবার ব্যাহত হয়েছে।
এমনই এক অচলাবস্থার মধ্যে দায়িত্ব নেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি নানা ভাবে চেষ্টা করেছেন একটা সুতোয় পুরো প্রতিষ্ঠানকে বাঁধতে। কিছু ক্ষেত্র সফল হয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে তিনি লাগাম পরাতে পারেননি। তাই এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সেই নিরাশাই তিনি ব্যক্ত করতে চেয়েছেন।
তিনি এদিন বলেন, অচলাবস্থার মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি, নিজের সাধ্যমতো সেই দায়িত্ব সামলে যাচ্ছি। যতদিন পারব সেই দায়িত্ব সামলে যাব। যেদিন বুঝব, আর পারছি না, সেদিন নিজে থেকেই সরে দাঁড়াব।' পরে অবশ্য তিনি বলেন, আশা করি এমন দিন আসবে না, যে আমাকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়।
সুরঞ্জনবাবুর এই ভাষ্য আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটা বার্তা। তাঁদের সুসংহত হতে বললেন ঘুরিয়ে। যদি তাঁরা সুসংহত না হন, তখন তাঁকে অন্য ভাবনা ভাবতে হবে বলে নিরাশা ব্যক্ত করেছেন উপাচার্য।