পাতিপুকুরে বিধ্বংসী আগুন, মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ ২, শীতের রাতে গৃহহীন ২০ পরিবার
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ২০টি ঝুপড়ি। ঘুমের মধ্যেই বেঘোরে প্রাণ গেল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তার কাকার।
কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর : বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ২০টি ঝুপড়ি। ঘুমের মধ্যেই বেঘোরে প্রাণ গেল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তার কাকার। মর্মান্তিক এই ঘটনা বিধাননগর ও দমদম স্টেশনের মাঝে পাতিপুকুরের সুভাষ কলোনিতে। মৃত দু'জনের নাম প্রিয়া অধিকারী (১৬) ও নিমাই অধিকারী (২৭)। আরও কয়েকজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। শীতের রাতে গৃহহীন হয়ে গেল ২০টি পরিবার।
এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। চক্রান্ত করেই এই আগুন লাগানো হয়েছে। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারের কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তনু সেন। তিনি ঝুপড়িবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সর্বতভাবে তাঁদের সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাত তখন আড়াইটে। কলোনির বাসিন্দারা সবাই নিদ্রাচ্ছন্ন। তখনই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দাউ দাউ আগুন নিমেষে ছড়িয়ে পড়ল পর পর ঝুপড়িতে। এরই মধ্যে বিস্ফোরণ। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণের পর আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘুমের ঘোরে বেরিয়ে আসার সঙ্কীর্ণ পথ হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। তবু তারই মধ্যে প্রায় সবাই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ঘর থেকে বের হতে পারেনি প্রিয়া ও তার কাকা নিমাই অধিকারী।
তাঁদের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে শনিবার সকালে। এই কলোনির ছ'জন নিখোঁজ বলে দাবি করছেন বাসিন্দারা। এখনও শিয়ালদহ উত্তর শাখার রেল লাইনই এই বাসিন্দাদের আশ্রয়। যে যেটুকু বাঁচাতে পেরেছেন, তা নিয়েই সুভাষ কলোনির বাসিন্দাদের অস্থায়ী ঠিকানা ওই রেল লাইনই।