জিএসটিকে মধ্যরাতের পরাধীনতা বললেন পার্থ, অমিত মিত্রকে কীসের ‘ক্লাস’ নিতে অনুরোধ তাঁর
নোটবন্দির ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল জিএসটির ক্ষেত্রেও। পরিকাঠামো না গড়েই মধ্যরাতে সংসদ বসিয়ে জিএসটি চালু করল বিজেপি সরকার।
জিএসটি-র বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরিকাঠামো না গড়েই মধ্যরাতে সংসদ বসিয়ে জিএসটি অর্থাৎ পণ্য পরিষেবা কর চালু করেছে বিজেপি সরকার। এই ঘটনাকে মধ্যরাতের পরাধীনতা বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর কথায়, 'শুক্রবার মধ্যরাতে যা হল, তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষের অধিকার সম্পূর্ণ পরাধীন হয়ে গেল। ছোট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।'
পার্থবাবুর অভিযোগ, নোটবন্দির ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল জিএসটির ক্ষেত্রেও। পরিকাঠামো না গড়েই চালু করা হল জিএসটি। জটিল করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল সাধারণ মানুষের উপর। ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরাও এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই জিএসটি-র বিরুদ্ধে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
পার্থবাবু বলেন, জিএসটি নিয়ে চরম বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে। ধোঁয়াশায় ক্রেতা-বিক্রেতা দু'পক্ষই। অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয় এই কর ব্যবস্থা। এই অবস্থায় তিনি দলের মধ্যে অমিত মিত্রকে ক্লাস নিতে অনুরোধ করবেন বলে জানান। বাংলার অর্থমন্ত্রী শেখাবেন- জিএসটিতে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল। পার্থবাবুর কথায়, জিএসটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার আগে তা সম্বন্ধে সম্যক জানা দরকার। কেননা এখনও অনেকেই জানেন না কোন ক্ষেত্রে কর ব্যবস্থা কী হল?
আমরা বলেছিলাম, আরও সময় নিয়ে পণ্য পরিষেবা কর চালু করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। অমিত মিত্র বহুবার চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি চালু করে দেওয়া হল পণ্য কর ব্যবস্থা। পার্থবাবু বলেন, 'মানুষকে বোঝানো দরকার। পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার। তারপরই জিএসটি চালু করা উচিত ছিল কেন্দ্রের। বস্ত্রশিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ কাজ করে। খেটে খাওয়া সেইসব মানুষের সর্বনাশ হয়ে যাবে। তাই আন্দোলনে নামা ছাড়া কোনও উপায় নেই তাঁদের।
অমিত মিত্র বলেন, আগে যে জিএসটিতে মমতা সহমত পোষণ করেছিলেন, সেই জিএসটির সঙ্গে লাগু হওয়া জিএসটির অনেক তফাৎ। এখানে ইন্সপেক্টর রাজ কায়েম করা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ীদেরও 'স্টক মেন্টেন' করতে হবে। তা না হলেই গ্রেফতারির হাতছানি। তা-ই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, কেউ এখনও প্রস্তুত নন। তাই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। আমরা চাই সময় চেয়েছিলাম। যা হল এটা পণ্য কর ব্যবস্থা চালু হল না, চালু হল সর্বনাশা ব্যবস্থা।