সকাল থেকেই বৃষ্টি দানবের দাপট, তবু অষ্টমীর জনস্রোতকে টেক্কা দেওয়ার অপেক্ষায় নবমীর তিলোত্তমা!
কলকাতা, ১০ অক্টোবর : আজ মহানবমী। পুজোর রেশ বলতে হাতে মাত্র এই দিনটাই। আগামীকাল দশমীর সকাল থেকেই তো মাকে বিদায় জানানোর পালা। তাই নবমীর দিনটাকে একেবারে কড়ায় গণ্ডায় উসুল করে নিতে হবে। কিন্তু সকাল থেকেই বাধ সেধেছে বৃষ্টি। উত্তর কলকাতা সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার হলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে উত্তর কলকাতায় অষ্টমীর মতো নবমীতেও মুষলধারের বৃষ্টি সকাল থেকেই।
বৃষ্টি বাধা সৃষ্টি করতে চাইলেও রণে খুব একটা ভঙ্গ দিতে পারেনি। উৎসবমুখর কলকাতা সকাল থেকেই মণ্ডপমুখী।
অষ্টমীর রাতে যে শহরের রাস্তায় আছড়ে পড়বে জনসুনামি তা তো আন্দাজ ছিলই পুলিশ প্রসাশন থেকে সাধারণ মানুষ সবারই। কিন্তু তা বলে উত্তর থেকে দক্ষিণ, কিংবা ধরুণ মধ্য কলকাতা, ট্রামে বাসে মোট্রোয় বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই হারে কাতারে কাতারে মানুষ কব্জা জমাবে তা কিন্তু আগে থেকে ঠিক ঠাহর করা যায়নি।
নবমীর সকাল থেকেই মণ্ডপে ভিড় মোটামুটি বলাটাই ভাল। কারণ রাতের পুজো হপিংয়ের পর একটু জিরিয়ে নেওয়ার সময়টুকু। কলকাতার পুজোর ভিড়ের এটাই প্রকৃতি। সকালের ভিড়টা মধ্যমমানের থাকে ভিড় ক্রমশ জনপ্লাবনের আকার নিতে শুরু করে সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত নেমে আসতেই। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তবে বৃষ্টির জেরে অষ্টমী রাতের ভিড় মাঝে মাঝে যেন টুকরো হয়ে যাচ্ছিল। আবার কয়েক মুহূর্তে শক্তি জুগিয়ে ফিরে আসছিল মণ্ডপের মূল ফাটক থেকে মণ্ডপের অন্দর থেকে বাহির পথ পর্যন্ত।
তবে যতই বৃষ্টি হোক, অষ্টমীর রেশ ধরেই নবমীতেও ভিড়ের চাপ বেশ থাকবে। কারণ আক্ষরিক অর্থে আজই পুজোর শেষ দিন। আজকের দিনটা কেটে গেলেই তো ফের একটা বছর অপেক্ষা, নতুন প্রস্তুতি। তাই শেষ পর্বের শেষ লগ্নে উৎসবের স্বাদটা একেবারে উসুল করে নেওয়া চাই। কালই যে মা ফিরে যাবেন। দুঃখের পাশে একটাই যা শ্বান্তনা "আসছে বছর আবার হবে।"