সুদীপ-গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য অফিসে ক্ষোভের আগুন তৃণমূল সমর্থকদের
তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল শহর কলকাতায়। বিজেপি রাজ্য দফতরে ইটবৃষ্টি চালাল তৃণমূলের একদল সমর্থক।
কলকাতা, ৩ জানুয়ারি : তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ল শহর কলকাতায়। বিজেপি রাজ্য দফতরে ইটবৃষ্টি চালাল তৃণমূলের একদল সমর্থক। এই ঘটনায় ১৫ জন বিজেপি সমর্থক গুরুর আহত হয়েছেন। অনেকেরই মাথা ফেটে যায়। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও এই হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি নেতৃত্ব।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কলকাতায় সাংসদ। তাঁর সাংসদ এলাকাতেই বিজেপির রাজ্য দফতর। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই তৃণমূল সমর্থকরা ভিড় জমান বিজেপি-র রাজ্য দফতরে। তারাই তাণ্ডব চালায় বিজেপি অফিসের সামনে। হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থক বিজেপি অফিস ঘিরে ইট বৃষ্টি করতে থাকে। শুধু ইট নয়, ছোড়া হয় ভাঙা বোতলও।
তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের ছোড়া ইট-বোতল লেগে বিজেপি নেতা-কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। ঘটনার পরই রাজ্য দফতরে যান রাহুল সিনহা। তিনি এই ঘটনার জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেন। বলেন পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও সক্রিয় হননি।
রাহুলবাবু এই ঘটনায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়রা। তারপরই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি। বিজেপি-র এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং জানান, এটা একেবারেই সুপরিকল্পিত হামলা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, এ রাজ্যে নিরাপত্তা বলে কিছুই নেই। প্রতিহংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিক্ষোভকারীরা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানান। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ চালাতে থাকেন তাঁরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে তৃণমূল সমর্থকদের। সংখ্যায় পুলিশ অপ্রতুল। এমতাবস্থায় নতুন করে হিংসা ছড়ালে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। এই ঘটনার মোকাবিলায় রাজ্যপালের শরণাপন্ন হচ্ছেন বিজেপি নেতারা।