নোট বাতিলের প্রতিবাদে বনধ ব্যর্থ করতে মাইক ‘যুদ্ধ’-এ নামল তৃণমূল, অভিযোগ সুজনের
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে যাতে আমরা বার্তা দিতে না পারি তার জন্য তারস্বরে মাইক বাজিয়ে আমাদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কলকাতা, ২৮ নভেম্বর : নোট বাতিলের প্রতিবাদে বামেদের ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ব্যর্থ করতে মাইক 'যুদ্ধ'-এ নামল শাসক দল। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে যাতে আমরা বার্তা দিতে না পারি তার জন্য তারস্বরে মাইক বাজিয়ে আমাদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সোমবার রাজ্যের প্রথম কর্মদিবসেই বনধ ডেকেছে বামেরা। মানুষের দুর্ভোগ যাতে না বাড়ে, সে জন্য বনধ প্রতিরোধে নেমেছে রাজ্য সরকার। আর তা নিয়েই তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। সেই বাকযুদ্ধ আবার বদলে গিয়েছে মাইক যুদ্ধে। বনধের সমর্থনে এদিন সকালেই যাদবপুরে মিছিল করে বামফ্রন্ট। বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সেই মিছিলে পথে নামেন বহু বামকর্মী-সমর্থক। শান্তিপূর্ণ মিছিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তৃণমূল পাল্টা মাইক প্রচার শুরু করায়। উভয়পক্ষে মাইক 'যুদ্ধ' শুরু হয়ে যায়।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, আক্রোশ দিবস পালন করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে আমরা বনধের ডাক দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল সেই বনধের বিরোধিতা করে বিজেপিকে খুশি করতে চাইছে। কারণ তৃণমূলের কাছে কালো টাকার ভান্ডার হয়ে আছে।
সারদা-নারদের পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা রয়েছে তৃণমূল নেতাদের হাতে। তৃণমূলের নোট বাতিলের বিরোধিতা সেই জন্যই। এখন মোদি বলেছেন, বনধ করা চলবে না। তৃণমূল সেই বনধের বিরোধিতা করে মোদিজির হাতই শক্ত করছেন।
তিনি বলেন, আমরা বনধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছে। যাদবপুর এলাকায় মিছিল করে ঘুরবেন তারা, এই পরিকল্পনাই রয়েছে তাদের। তৃণমূল আমাদের এই প্রচার ভেস্তে দিতে মাইক বাজিয়ে প্রতিরোধের রাস্তায় হাঁটে। লেক টাউনে বামেদের মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই আমাদের কর্মীদের হেনস্তা করা হয়েছে। সাতজনকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। আসলে ক্ষমতা প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিখ আন্দোলনকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই স্বৈরচারি মনোভাব মানুষ মেনে নেবে না।