হাইকমান্ডের চাপে ভোলবদল, সুদীপের গ্রেফতারিতে তৃণমূলের আন্দোলনে শর্ত সাপেক্ষে সমর্থন কংগ্রেসের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভোলবদলে জানিয়ে দিলেন, যেহেতু নোট ইস্যুতে আন্দোলন প্রতিহত হচ্ছে এই গ্রেফতারির জেরে, তাঁরা ইস্যুভিত্তিক সমর্থন দেবেন তৃণমূলকে।
কলকাতা, ৪ জানুয়ারি : শেষপর্যন্ত হাইকমান্ডের কাছে মাথা নত করল প্রদেশ কংগ্রেস। চিটফান্ড-কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর কংগ্রেসের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয় হাইকমান্ড ও প্রদেশ কংগ্রেসের। শেষমেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভোলবদলে জানিয়ে দিলেন, যেহেতু নোট ইস্যুতে আন্দোলন প্রতিহত হচ্ছে এই গ্রেফতারির জেরে, তাঁরা ইস্যুভিত্তিক সমর্থন দেবেন তৃণমূলকে।
সম্প্রতি রোজভ্যালি কাণ্ডে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে গ্রেফতার হন দুই তৃণমূল সাংসদ। তাপস পালের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই জালে ধরা পড়তেই চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় জোট রাজনীতি। কারণ জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের হয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দীর্ঘদিন সংসদীয় রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ছিলেন দলের লোকসভা নেতা। একটা সময় ইউপিএ মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন।
বর্তমান দেশ যখন নোটকাণ্ডে উত্তাল, নোট দুর্ভোগের জেরে টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, তখনই রোজভ্যালিকাণ্ড উসকে দিয়ে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নোটকাণ্ডে সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তৃণমূলের আন্দোলনে। কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনিই প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। এরই ফাঁকে গ্রেফতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল দাবি তুলেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের দলের এই হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নোটকাণ্ডে আন্দোলনকে থমকে দিতেই এই পরিকল্পনা। তাই বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলকেই এই ইস্যুতে সমর্থন চান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল পার্টির সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মর্মে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব তৃণূলের পাশে থাকার বার্তা দেন।
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস স্পষ্টতই জানিয়ে দেয়, নোট কাণ্ডে তৃণমূলের আন্দোলনকে সমর্থন করা হয়েছিল ঠিক আছে, কিন্তু কোনওমতেই চিটফান্ড ইস্যুতে সমর্থন নয় তৃণমূলকে। চিটফান্ডের তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। অধীরবাবু বলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি। দাদা বলে ডাকি। দীর্ঘদিন সংসদীয় রাজনীতি করছেন। আমি তাঁর সঙ্গে
সংসদীয়
রাজনীতিতে
আছি।
তিনি
যদি
রোজভ্যালিকাণ্ডে
জড়িত
হন,
তাঁকে
গ্রেফতার
হতেই
হবে।
আইন
আইনের
পথেই
চলবে।
প্রদেশে
কংগ্রেসের
সঙ্গে
মতপার্থক্য
দেখা
দেওয়ায়
এদিন
চটজলদি
বৈঠক
ডাকে
হাইকমান্ড।
সেই
বৈঠকে
হাইকমান্ডের
কাছে
প্রশ্ন
রাখা
হয়
কেন
চিটফান্ড
ইস্যুতে
তৃণমূল
সাংসদ
গ্রেফতার
হওয়ার
প্রতিবাদে
আমরা
সমর্থন
জানাবো
তৃণমূলকে?
তখন
হাই
কমান্ডের
তরফে
জানানো
হয়,
চিটফান্ডকাণ্ডে
সুদীপ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
গ্রেফতারির
প্রতিবাদ
নয়,
আমাদের
সমর্থন
সে
কারণেই
যে,
নোট
দুর্ভোগের
প্রতিবাদ
সামিল
হয়েছিলেন
বলেই
আন্দোলন
ভেস্তে
দিতে
এই
গ্রেফতারির
পরিকল্পনা
করা
হয়।
তারপরই
প্রদেশ
কংগ্রেস
সভাপিত
অধীর
চৌধুরী
ভোলবদল
করে
তাঁর
বক্তব্য
জানান।
বলেন,
নোটকাণ্ডের
আন্দোলনকে
গুরুত্ব
দিয়েই
আমাদের
ইস্যুভিত্তিক
সমর্থন
জারি
থাকবে
তৃণমূলের
আন্দোলনে।