দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম 'শহিদ দিবস' মমতার, শহর জুড়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি
কলকাতা, ২০ জুলাই : প্রতিবছরই ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারেরটা একটু স্পেশাল হতে যাচ্ছে তাঁর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বার মসনদে বসার পর এটাই হবে প্রথম 'শহিদ দিবস'। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বড়মাত্রায় বিজয় উৎসবের মঞ্চও বলা যেতে পারে এই অনুষ্ঠানকে। [২০১৫ সালে শহিদ দিবসের মঞ্চে যা বলছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
ফলে তৃণমূলের অন্দরের খবর, উৎসাহ, আবেগ ও উন্মাদনা আগের সব বারের চেয়ে এবার বেশি হতে পারে। কারণ বহুদিন পর রাজ্যে কোনও একটি দল একক কৃতিত্বে ক্ষমতায় এসেছে দু'শোর বেশি আসন পেয়ে। ফলে আবেগ বাঁধ ভাঙতে পারে এবার।
আর সেজন্যই একেবারে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মঞ্চের চারপাশের গোটা এলাকা। কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে। এর পাশাপাশি উচ্চ পদমর্যাদার কয়েকজন আধিকারিক ও কমিশনার পদের কয়েকজন আধিকারিকও থাকছেন। এবং ভিড় সামলাতে থাকছে মহিলা স্কোয়াডও।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। মঞ্চের চারিদিকে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। রেডিও স্কোয়াড ছাড়াও মঞ্চের বিভিন্ন প্রান্তে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে। ৭টি জায়ান্ট স্ক্রিনে অনেক দূর থেকেও অনুষ্ঠান দেখা যাবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবারের মতোই দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে মিছিল ঢুকবে। মেদিনীপুর ও হাওড়ার তৃণমূল সমর্থকেরা এদিক দিয়ে আসবেন। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলা যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের লোকেরাও ট্রেনে এলে হাওড়া হয়ে ওদিক দিয়েই আসবেন।
তবে সড়কপথে এলে ডানলপ হয়ে বিটি রোড ধরে শ্যামবাজার হয়ে এলপ্লানেড পৌঁছতে হবে তৃণমূল সমর্থকদের। উত্তর ২৪ পরগনার বিপুল সংখ্যক সমর্থক বিটি রোড ও যশোর রোড হয়ে আসবেন। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার জনতা ডায়মন্ড হারবার রোড হয়ে মধ্য কলকাতায় পৌঁছবেন।
শিয়ালদহ স্টেশনে ব্য়াপক ভিড় হতে পারে আশঙ্কা করে তৈরি রাখা হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। এছাড়া এসপ্লানেড লাগোয়া নানা জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগেই সেখানে গাড়ি পার্ক করে খানিক পথ পায়ে হেঁটে মঞ্চের কাছে গিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে পারবেন তৃণমূল সমর্থকেরা।