রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত, ভুল বুঝছে ভাঙড়, বললেন শোভনদেব
ভাঙড়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ভাঙড়বাসী সেই ভুলটাই বুঝছেন। পাওয়ার গ্রিড নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে তোপ দাগলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি : ভাঙড়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ভাঙড়বাসী সেই ভুলটাই বুঝছেন। পাওয়ার গ্রিড নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে তোপ দাগলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দফতরের এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া তিনি মন থেকে মেন নিতে পারেননি। এবার তাই রাখঢাক না করে বলেই ফেললেন, অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা প্রচার করা হচ্ছে ভাঙড়ে। নোংরা রাজনীতির শিকার ভাঙড়বাসী। মানুষকে বোঝাবেন তাঁরা।
বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি পরিষদীয়মন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও। তিনি বলেন ভাঙডের মানুষ রাজ্য সরকারের সঙ্গে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন। ভাঙড়ে কোনও জমি অধিগ্রহণ করেনি সরকার। এই সরকার জোর করে কোনও জমি নেবেও না। তাই টেনশনের কিছু নেই।
সম্প্রতি ভাঙড় ইস্যুতে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, রাজ্য এবার ১০০ ভাঙড় হবে। গোটা রাজ্য উত্তাল হলে উঠবে। তৃণমূল সরকারের দু'মুখো নীতি সামনে চলে এসেছে। মানুষ তাঁদের স্বরূপ বুঝতে পেরেছে। সূর্যবাবুর এই মন্তব্যেরও ঘোর সমালোচনা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সিপিএম তথা বামফ্রন্ট যে সমস্ত কথা বলছে, তা হল এককথায় হতাশার অভিব্যক্তি। সিপিএমের পায়ের তলা থেকে জমি সরে গিয়েছে। পায়ের তলায় যখন মাটি না থাকে, তখন তারা এমন ধরনের কথাই বলে। একটা গণ্ডগোল আঁকড়ে কখনও কারও ভালো হতে পারে না। ওঁরা সেই গণ্ডগোলকেই আঁকড়ে আবার ভেসে উঠতে চাইছে। তাঁর বিশ্বাস ভাঙড়ের মানুষ সত্যিটা শীঘ্রই বুঝতে পারবেন।
এদিকে ভাঙড়কাণ্ডে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে প্রস্তাব রাখেন, ভাঙড়কাণ্ডে হস্তক্ষেপ করুন। সিঙ্গুরকাণ্ডেও তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী হস্তক্ষেপ করেছিলেন। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার ভাঙড়কাণ্ডেও রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছে।
এদিনই ভাঙড়ে সিপিআইএমএল রেডস্টারের পক্ষ থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণার পরই পুলিশ রুটমার্চ। অবরোধ তুলতে পুলিশ বাড়িয়ে দেয় দোস্তির হাত। মাইকিং করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ চতুরঙ্গ টহল দেয় ভাঙড়ে। তাঁদের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানানো হয়।