কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই, ওঁরাই ঈশ্বর, বলছেন নবজন্ম পাওয়া রোগীর পরিবার
সুরভি চাইত মানুষের সেবা করতে। কিন্তু শেষপর্যন্ত যে এইভাবে সে মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবে ভাবেননি তাঁরা।
কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর : সুরভি চাইত মানুষের সেবা করতে। কিন্তু শেষপর্যন্ত যে এইভাবে সে মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবে ভাবেননি তাঁরা। মেয়ের ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদান করে এক নিঃশ্বাসে সন্তানহারা দম্পতি বলে চললেন যন্ত্রণার কথা। তাঁরাই যে এখন ভগবান বারুইপুরের পরিতোষ নস্কর, হাওড়ার বিজয়কুমার ভূত ও ভিনরাজ্যের রেলজা উভালিকের কাছে। সুরভির বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়েকে অমরত্ব দিতে। আর তাঁদের সেই ইচ্ছাপূরণে পরিতোষ নস্কর, বিজয়কুমার-রা তাঁদের ভগবানকে পেয়ে গেলেন চোখের সামনে। নবজন্ম পেতে চলেছেন তাঁরা।
এক প্রাণের বিনিময়ে তিন জনের নবজন্ম লাভ ও দৃষ্টশক্তি ফিরে পাওয়া দু'জনের। এ ঘটনা ভগবান ছাড়া আর কে ঘটাতে পারে? আসানসোলের সুরভি বরাটের বাবা-মা'ই এখন ঈশ্বর নবজন্ম লাভ করা পাঁচ জনের কাছে।
পরিতোষ নস্করের পরিবার বলছে, আমাদের ভাষা নেই কৃতজ্ঞতা জানানোর। আর বিজয়কুমার ভূতের পরিবার একেবারে সুরভির বাবা-মাকে বসিয়ে দিয়েছেন ঈশ্বরের আসনে। তাঁদের কথায়, কে বলে ঈশ্বর স্বর্গে থাকেন, আমাদের ঈশ্বর তো রয়েছেন চোখের সামনেই।
সুরভির বাবা সন্তান হরানোর যন্ত্রণা বুকে চেপে বলছেন, মেয়ে মানুষের সেবা করতে চাইত, তাই তাঁর সেই ইচ্ছার মর্যাদা দিতেই অঙ্গদানের ভাবনা। আমার মেয়ে তো চলেই গেল, এখন তাঁর অঙ্গ গ্রহিতাদের প্রাণের স্পন্দনে থেকে যাবে আমার মেয়ে, এটাই আমাদের সান্ত্বনা।