পরীক্ষার আদল বদলেও বদলালো না প্রকৃতি, ‘ট্র্যাডিশন বজায় রেখে দেদার টুকলি মাধ্যমিকে
পরীক্ষার আদল বদলেও বদলালো না প্রকৃতি। অব্যাহত ‘ট্র্যাডিশন। অবাধে টুকলি চলল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও। প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিন ইংরাজি পরীক্ষাতেও। জেগে ঘুমোল প্রশাসন।
কলকাতা, ২২ ফেব্রুয়ারি : পরীক্ষার আদল বদলেও বদলালো না প্রকৃতি। অব্যাহত 'ট্র্যাডিশন। অবাধে টুকলি চলল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও। প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিন ইংরাজি পরীক্ষাতেও। জেগে ঘুমোল প্রশাসন। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক- স্বচ্ছ পরীক্ষা রূপায়ণের কোনও চেষ্টাই দেখা গেল না এদিনও। পরোক্ষে সংবাদমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হল টুকলির ছবি তুলতে। নিগৃহীত হল সাংবাদিক, চিত্র-সাংবাদিকরা।
বিশেষ করে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে। ইটাহার গার্লস স্কুলে দেদার টুকলি সরবরাহ হয়েছে। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও। উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে সিসিটিভি পর্যন্ত বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও আটকানো গেল না টুকলি।
পর্ষদ সূত্র জানা গিয়েছে, মোট ৩৬টি স্কুলে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। তারপরও কেন এত টুকলির রমরমা। ছবিতে দেখা গিয়েছে, প্যান্টের পকেট থেকে শুরু করে মোজার ভিতরেও সযত্নে রাখা নকলের কাগজ। শুধু জানলা দিয়ে পরীক্ষা হলে উঁকি দিয়ে বা পাইপ বেয়ে দোতলায় উঠে বাইরে থেকে টুকলি সরবরাহই হল না, পড়ুয়ারা যে প্রস্তুত হয়েই হলে ঢুকেছে সেই চিত্রও ধরা পড়ল এদিন। প্রতি ঘণ্টায় বাইরে বেরিয়ে নকল মিলিয়ে পরীক্ষা দিল অনেক পড়ুয়া।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। জেলাশাসক নিজে টুকলি ধরেছেন। তা সত্ত্বেও এত কিছু নজরদারির ব্যবস্থা করেও পর্ষদ ডাহা ফেল টুকলি রুখতে। পরীক্ষার আদল পরবর্তন করেও ছাত্রছাত্রীদের স্বভাব বদল করতে পারল না পর্ষদ। যতই ৪০ শতাংশ মাল্টিপল চয়েসের প্রশ্ন থাকুক, দিনের শেষে সেই চুরি না করলে নম্বর উঠবে না উত্তরপত্রে।
এবার পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল পর্ষদ। অতিরিক্ত পরিদর্শক নিয়োগ থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ, মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে পরীক্ষা বাতিল- কত না নিদন জারি হয়েছিল। কিন্তু সব চেষ্টাই জলে গেল এবারও দেদার টুকলিতে।