আদর্শ পরিবেশ ছিল না, ভোট শেষে মানল নির্বাচন কমিশন
কলকাতা, ১৮ এপ্রিল : রেহাই পেল না পুলিশ, আক্রান্ত হল সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। ফলে ফের একবার পুর নির্বাচনে প্রমাণিত হল, 'কলকাতা আছে কলকাতাতেই'।
যা আশঙ্কা করা গিয়েছিল সেটাই সত্যি হল। মারামারি, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল কলকাতা পুর নির্বাচন। একইসঙ্গে এই আশঙ্কাও থেকে গেল আগামি ২৫ তারিখ বাকি ৯৩ টি পুরসভার নির্বাচনে কোন ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা রাজ্য!
এদিন সকাল থেকেই কোথাও বুথ দখল, কোথাও পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়া, আবার কোথাও বা লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের নির্দিষ্ট বোতামে ভোট দেওয়ার হুমকি আর কোথাও প্রকাশ্যে, একেবারে ক্যামেরার সামনেই সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের হুমকি দিল ভোট পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ক্যাডাররা। এই সবই চলল নিয়ম মেনে। আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে শনিবার নামানো হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার পুলিশকর্মী। সঙ্গে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ছাড়াও রয়েছে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নজরদারি ড্রোন। কিন্তু এত কিছু করেও হিংসা ঠেকানো গেল না। যার জেরে নির্বাচন কমিশনারকে স্বীকার করে নিতে হল যে "কয়েক জায়গায় ভোট ঠিকমতো করানো যায়নি"। কমিশন ও প্রশাসনের এই ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানালেন ৬০ থেকে ৭০ টি বুথে গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। তিনি রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। রিপোর্ট পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। প্রয়োজনে ওই কেন্দ্রগুলিতে ভোট করারও কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার
কিন্তু এসব করে কি সন্ত্রাসের আবহকে আগামিদিনে আটকানো যাবে? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল।