শহরে জোড়া দুর্ঘটনায় একই চিত্র, বাবার বাইক থেকে ছিটকে মৃত ২ বালিকা
শহরে জোড়া দুর্ঘটনায় একই চিত্র। বাবার বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল দুই বালিকার। দুই ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের চোখের সামনে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
কলকাতা, ২৯ এপ্রিল : শহরে জোড়া দুর্ঘটনায় একই চিত্র। বাবার বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল দুই বালিকার। দুই ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের চোখের সামনে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধান, কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব।
প্রথম ঘটনা শুক্রবার রাতে তারাতলা মোড়ে। বাবার বাইক থেকে ছিটকে গিয়ে ট্যাঙ্কারে তলায় পিষ্ট হয়ে গেল আট বছরের মেয়ে। বাবা-মায়ের চোখের সামনে প্রাণ গেল বালিকার। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন মৃত বালিকার বাবা-মা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। ঘাতক ট্যাঙ্কারটিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
বাবা অমিত রায় ও মা সঙ্গীতা রায়ের সঙ্গে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিল ছোট্ট তুহিনা। আচমকাই তাঁদের বাইক রাস্তার একটি গর্তে পড়ে বেসামাল হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি ছিটকে পড়ে। বাইক থেকে রাস্তার দিকে পড়ে যায় তুহিনা। উল্টেদিকে পড়ে অমিত আর সঙ্গীতা। সেইসময় পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্যাঙ্কার তুহিনাকে পিষে দিয়ে চলে যায়।
তিনজনেকই আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। চিকিৎসকরা তুহিনাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁর বাবা-মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁরা বর্তমানে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ওই এলাকায় রাস্তা খারাপ থাকার জন্য প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তা মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। অবরোধ করা হয়। পুলিশ আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে মহাত্মা গান্ধী রোডে। শনিবার দুপুরে একই বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা-মা ও দুই সন্তান। একটি সাইকেলের হ্যান্ডেলে লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় বাইকটি। ছ'বছরের শিশুটি ছিয়কে পড়েন রাস্তার উপর। একটি বাস তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। স্রেফ অসাবধানতার বলি হতে হয় দুই বালিকাকে। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ মেনে গাড়ি না চালানোতেই এই বিপত্তি বলে মনে করছে প্রশাসন। আর তার মাশুল গুণতে হচ্ছে অবুঝ শিশুদেরও।