ইডি-র জেরায় রাখঢাক না করেই জবাব সুব্রতর, গোয়েন্দাদের কী জানালেন তিনি
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি জেরার মুখে সোজা সাপ্টা জবাব দিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়ে নারদ কর্তার কাছে থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার।
নারদ হুলে বিদ্ধ হলেও ইডি জেরার মুখে তুখোড় জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ইডি জেরার মুখে তিনি স্বীকার করলেন, ম্যাথু স্যামুয়েলসের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা কোথায় কোন তহবিলে খরচ হয়েছে, তাও দ্ব্যর্থহীনভাষায় জানিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের পোড় খাওয়া হেভিওয়েট এই মন্ত্রী।
এর আগে ফিরহাদ হাকিম ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে ইডি। ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, তাঁরা চক্রান্তের স্বীকার হয়েছেন। মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ও ইডি-র জেরায় নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন। কিন্তু পোড় খাওয়া সুব্রত মুখোপাধ্যায় বীরদর্পে বললেন, টাকার অফার করা হয়েছিল তাঁকে। তাই টাকা নিয়েছেন নির্বাচনে খরচ করার জন্য।
সুব্রতবাবুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি নারদ কর্তাকে চেনেন কি না। সুব্রতবাবু জানান তিনি চিনতেন না ম্যাথু স্যামুয়েলসেকে। আগে কোনওদিনও দেখেনওনি। কেউ কি তাঁর কাছে ম্যাথু স্যামুয়েলসকে পাঠিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুব্রতবাবু জানান, কারও মাধ্যম হয়ে তিনি এসেছিলেন বলে মনে পড়ছে না। আমার সঙ্গে দেখা করে তিনি অফার দেন- নির্বাচনের প্রচারে টাকা দিতে চান। সেইমতো টাকা দিয়েছিলেন তিনি এবং তা নির্বাচনে কাজে লাগানোর জন্য নিয়ম মেনেই টাকা নেওয়া হয়েছিল।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সুব্রতবাবু সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে পৌঁছন। তারপরই জেরা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। রুটিনমাফিক ইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে সুব্রতবাবুকে জেরা করতে শুরু করেন। সুব্রতবাবু কোনও রাখঢাক না করেই সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে যান। দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতোই এই অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ কখনও বাউন্সার ডাক করে, কখনও ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইডির প্রশ্নবাণ সামলান।