শোভনের পথেই জেরা এড়ালেন সুব্রত, কবে যাবেন সিবিআই দফতরে স্থির করলেন নিজেই
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ তদন্তে তলব করে ইডি। তিনিও একই কারণ দেখিয়ে জেরা এড়িয়ে যান। এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণ দর্শিয়ে জেরা পিছনোর অনুরোধ করলেন।
মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে নারদকাণ্ডে হাজিরা এড়ালেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআইয়ের নোটিশ পাওয়ার অদ্যাবধি পরেই জানিয়ে দেন, প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি এদিন সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিতে পারছেন না।[আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে সিবিআই তলব করল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে]
সিবিআইকে লেখা চিঠিতে তিনি অনুরোধ করেন, তাঁকে যেন ২১ জুলাইয়ের পর কোনও দিন তলব করা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁর হাজিরা দিতে কোনও অসুবিধা থাকবে না। ২১ জুলাই পর্যন্ত দলীয় কাজে তিনি ব্যস্ত থাকবেন। উল্লেখ্য ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের বড় সমাবেশ রয়েছে। সেই ঝামেলা মেটার পরই তিনি নারদ তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করতে পারবেন নারদ-তদন্তে
উল্লেখ্য, এর আগে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ তদন্তে তলব করে ইডি। তিনিও একই কারণ দেখিয়ে জেরা এড়িয়ে যান। এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণ দর্শিয়ে জেরা পিছনোর অনুরোধ করলেন। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়কে তলব করে সিবিআই।
তাঁকে একদিন পর অর্থাৎ বুধবার নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়। তাঁর কলকাতার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল নোটিশ। তিনি সেই নোটিশের কথা জেনেই দিল্লি থেকে ইমেল করেন, বুধবার তাঁর পক্ষে কলকাতায় গিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সময় চেয়ে নেন।
এবার সৌগত রায়ের পর তৃণমূলের হেভওয়েট নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দিকে হাত বাড়াল সিবিআিই। উল্লেখ্য, নারদকাণ্ডে মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। সেই তালিকায় ১১ জনই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ। এখন পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে তলব করল সিবিআই বা ইডি।
বাকি ছ'জনকেও যে কোনও দিন তলব করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পাঁচজনকে তলব করা হলেও মাত্র দু'জন তৃণমূল নেতা এখন পর্যন্ত সিবিআই ও ইডির মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁরা হলেন সুলতান আহমেদ ও ইকবাল আহমেদ।