বাগমারি থেকে উদ্ধার মেডিকেল থেকে চুরি যাওয়া শিশু, গ্রেফতার সন্দেহভাজন
মেডিকেল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধার হল বাগমারি থেকে। সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হল সন্দেহভাজন মহিলাকেও। পুলিশের তৎপরতায় ৯ ঘণ্টার মধ্যে চুরি যাওয়া সদ্যোজাত উদ্ধার হল।
কলকাতা, ১৪ মার্চ : মেডিকেল কলেজ থেকে চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধার হল বাগমারি থেকে। সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হল সন্দেহভাজন মহিলাকেও। পুলিশের তৎপরতায় ৯ ঘণ্টার মধ্যে চুরি যাওয়া সদ্যজাত উদ্ধার হল। খাস কলকাতার বুকে দিনদুপুরে শিশু চুরির ঘটনায় বেআব্রু হয়ে পড়েছিল সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা। পুলিশের তৎপরতায় তড়িঘড়ি শিশু উদ্ধার করে খানিকটা হলেও মুখরক্ষা করল পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে টিকা দেওয়ার নাম করে শিশু চুরি করে নিয়ে যায় সবুজ শাড়ি পরিহিতা এক মহিলা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আতঙ্কে ডিসচার্জের আগেই প্রসূতি মায়েরা হাসপাতাল থেকে সন্তানদের নিয়ে বাড়ি চলে যেতে শুরু করে। অনেক পরিবার একপ্রকার জোর করে অসুস্থ শিশু ও মাকে নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
গত ১০ মার্চ সরস্বতী নস্কর নামে এক রোগী ভর্তি হন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওইদিনই তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ হঠাৎ এক মহিলা এসে শিশুটিকে চেকআপ করা ও টিকা দেওয়ার নাম করে নিয়ে চলে যান। খানিক পরে শিশুটিকে ফিরিয়ে না দিয়ে গেলে সন্দেহ হয় মায়ের। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু হাসপাতালের কোথাও শিশুটির সন্ধান মেলেনি। সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।
এরপর পুলিশ তদন্ত নেমে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ ও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সবুজ শাড়ি পরা মহিলাকে শিশু কোলে যেতে দেখা যায়। সেই সিসিটিভি-র সূত্র ধরেই মহিলার সন্ধান চালাতে থাকে। স্থানীয় মানুষরাই এই ছবি দেখে তৎপর হয়। শনাক্ত হয়ে যায় সন্দেহভাজন। রাতেই অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় বাগমারি থেকে। বাগমারির কাছে আত্মীয় বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই মহিলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিশুটি ও সন্দেহভাজন মহিলা দু'জনকেই রাখা হয়েছে মানিকতলা থানায়। শিশুটিকে তাঁর মামার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার আগে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ- ওই শিশুই চুরি যাওয়া শিশু।
চুরি যাওয়া শিশুটির ঠাকুমার দাবি, এক আয়া তাঁকে হুমকি দিয়েছিল, তাঁকে না রাখলে ঘাড়া ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে হাসপাতাল থেকে। তিনি জানিয়েছিলেন, আমাদের আয়া রাখার মতো সামর্থ্য নেই। আমিই দেখভাল করব আমার নাতি ও বৌমার। তারপরই হুমকি দিয়ে চলে যায় আয়া। অভিযোগ, ওই আয়াই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যোগসাজোশে এই শিশু চুরি করেছে। পুলিশ এই বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখছে।