তবু মমতায় আস্থা, মুখ্যমন্ত্রীর পথ চেয়ে ভাঙড়বাসী
একবার আসুন। সশরীরে গ্রামে এসে আশ্বাস দিয়ে যান। তা-ই হবে শিরোধার্য। মুখ্যমন্ত্রী ভাঙড়মুখো হননি।
কলকাতা, ১৯ জানুয়ারি : ভাঙড়ে উত্তেজনা শুরুর দিন থেকে ভাঙবাসী মুখ্যমন্ত্রীকেই ডেকে চলেছেন। একবার আসুন। সশরীরে গ্রামে এসে আশ্বাস দিয়ে যান। তা-ই হবে শিরোধার্য। মুখ্যমন্ত্রী ভাঙড়মুখো হননি।[কে চালাল গুলি? উর্দিই বা কার? ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে, শুরু রাজনৈতিক তরজা ]
প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরিয়ে দিয়েছেন ভাঙড়বাসী। এমনকী যে মানুষটা ছ'মাস আগে আরাবুল কাঁটা ভেদ করে ড্যাং-ডেঙিয়ে জিতে এসেছেন ভাঙড় থেকে, তাঁকেও প্রবেশাধিকার দেননি গ্রামবাসী। তাঁদের একটাই কথা মুখ্যমন্ত্রী আসুন। একমাত্র আপনাকে ছাড়া, আর কারও কথা শুনব না আমরা। তবু সাড়া মেলেনি তাঁর।[পুলিশের পোশাকে গুলি চালিয়েছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরাই! উদ্ধার পুলিশের উর্দি]
এরই মধ্যে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। গুলি চলেছে, দুজনের প্রাণ চলে গিয়েছে। আরও দু'জন গুলিবিদ্ধ। এলাকা থমথমে। অভিযোগ উঠেছে মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশই গুলি চালিয়েছে।পুলিশকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে গ্রাম থেকে। তবুও গ্রামবাসীর আস্থা মমতাতেই।[ভাঙড়ে যে গুজবের কারণে পাওয়ার গ্রিডের জমি নিয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা]
বৃহস্পতিবার অনেকটাই শান্ত ভাঙড়। বুধবার ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ শোক-শান্তি মিছিলে অংশ নেন। তারপর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আলোচনার টেবিলে বসার। আন্দোলনকারীরা সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন অবশেষে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের অফিসে বৈঠকে বসবেন আন্দোলনকারীরা। তবু আওয়াজ উঠছে গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী আসুন। কথা দিয়ে যান। তাহলে কোনও অশান্তি হবে না।[ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২ গ্রামবাসী]
মুখ্যমন্ত্রী সেই আর্জি শোনেননি। কলকাতা থেকেই তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন পরিস্থিতি শান্ত করতে। তিনি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন, বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে। পাশাপাশি ভাঙড়বাসীর গায়ে যাতে আঁচড় না লাগে, তার দিকে কড়া দৃষ্টি দিতে বলেছেন। হয়তো ভাঙড় শান্ত হলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আশায় দিন গুনছে ভাঙড়বাসী।[অশান্ত ভাঙড়, নিজের এলাকায় ঢুকতেই পারলেন না রেজ্জাক]