কালো টাকার কারবারে জড়িয়ে কলকাতার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অধিকর্তারাও, চাঞ্চল্য ইডি তদন্তে
কালো কারবারে ভূত লুকিয়ে সর্ষের মধ্যেই। খোদ ব্যাঙ্ক কর্তারাই জড়িয়ে এই অসাধু চক্রে। এসফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে উঠে এল এবার কলকাতার নামও।
কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর : কালো কারবারে ভূত লুকিয়ে সর্ষের মধ্যেই। খোদ ব্যাঙ্ক কর্তারাই জড়িয়ে এই অসাধু চক্রে। এসফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে উঠে এল এবার কলকাতার নামও। কলকাতা শাখার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দুই উচ্চপদস্থ কর্তার নাম জড়িয়ে গেল কালো কারবারে। দুই কর্তাকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর।
কলকাতার এই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের টাকা সুকৌশলে সাদা করা হয়েছে। নোট বাতিলের পর থেকেই ব্যাঙ্কগুলির লেনদেনের উপর কড়া নজর রেখেছে ইডি। বড় অঙ্কের টাকা ছোট অঙ্কে ভেঙে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডির তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত ব্যাঙ্ক কর্তাদের মদত ছাড়া এ ধরের দুর্নীতি সম্ভব নয়।
ব্যাঙ্কের দুই কর্তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার নথি-সহ তাঁদের আসতে বলেছেন ইডি আধিকারিকরা। এর আগে কলকাতা থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুই কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি ব্যাঙ্কের এই কালো-যোগ পাওয়া যায়নি।
এর আগে দিল্লি, গুরগাঁও, বেঙ্গালুরুতে কালো টাকার ব্যাঙ্ক-যোগ পেয়েছে ইডি। কমিশনের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ ধরা পড়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তারা। এবার ব্যাঙ্ক অফ বরোদার বেহালা শাখার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাঙ্ক কর্মীরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। সমস্ত ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটে সংরক্ষণ করে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। তদন্তে আরও গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই ও ইডি।