৪৮ ঘণ্টায় ভোলবদল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের, কবি শ্রীজাত-র ‘অভিশাপ’ ফিরল টাইমলাইনে
৪৮ ঘণ্টাতেই ভোলবদল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অভিশাপ’ ফিরল টাইম লাইনে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরই বিতর্কিত কবিতাটিকে ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা, ২৭ মার্চ : ৪৮ ঘণ্টাতেই ভোলবদল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'অভিশাপ' ফিরল টাইম লাইনে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরই বিতর্কিত কবিতাটিকে ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দু'দিন যেতে না যেতেই ভুল বুঝতে পেরে কবিতাটি ফের শ্রীজাত-র ওয়ালে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার
তাঁর
ওয়াল
থেকে
কবিতাটি
সরিয়ে
দওয়ার
পরই
অনেকে
ভেবেছিলেন
শ্রীজাত-ই
তা
সরিয়ে
দিয়েছেন।
কিন্তু
শ্রীজাত
জানান,
তিনি
লেখাটি
সরাননি।
লেখাটির
জন্য
তিনি
অনুতপ্তও
নন।
ফলে
সরানোর
প্রশ্নও
নেই।
ফেসবুকের
তরফ
থেকেই
সম্ভবত
সরিয়ে
দেওয়া
হয়েছে।
শনিবার
শ্রীজাত-র
ফেসবুকে
পোস্ট
করা
'অভিশাপ'
নিয়ে
বিতর্ক
শুরু
হয়েছিল
শনিবার
থেকেই।
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
আলোড়ন
পড়ে
যায়।
এক
বিশেষ
শ্রেণির
ধর্মীয়
ভাবাবেগে
আঘাত
লাগার
জিগির
তুলে
একাধিক
এফআইআর,
জামিন-অযোগ্য
মামলা,
এমনকী
খুনের
হুমকিও
দেওয়া
হয়
কবিকে।
শিল্পী-সাহিত্যিক মহল প্রথম থেকেই কবির পাশে দাঁড়িয়েছিল। এবার বিদ্বজ্জনেরাও কবিতা-বিতর্কে শ্রীজাত-র পাশে দাঁড়ালেন। কবির পাশে দাঁড়াতে বিবৃতিতে সই করে সোচ্চার হলেন। বিদ্বজ্জনের এই তালিকায় ছিলেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শঙ্ঘ ঘোষ, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন প্রমুখ।
বিবৃতিতে লেখা হয়- 'শ্রীজাত-র লেখা কবিতাটি কারও ভালো লাগেনি, কারও ভালো লেগেছে। রুচিভেদে এমন বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে। কিন্তু কবিতাটিতে একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। এই রুচিভেদ নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে, এটাই গণতান্ত্রিক সমাজের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু তার জন্যে কবির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, মামলা, এমনকী খুনের হুমকি সমর্থনযোগ্য নয়। তাই সমবেতভাবে আমাদের এই প্রতিবাদ।'