সনিকা মৃত্যু তদন্ত : বিক্রমের জবাবে কেন সন্তুষ্ট নয় পুলিশ? আজ ফের জেরা
মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্রমকে ম্যারাথন জেরায় প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বিক্রমের দেওয়া বয়ানকে হাতিয়ার করেই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে নেমেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিক্রমকে ম্যারাথন জেরায় প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। বিক্রমের দেওয়া বয়ানকে হাতিয়ার করেই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে নেমেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় এদিনের বয়ানের সঙ্গে তাঁর আগের বয়ানে অসঙ্গতিই বিক্রমকে চাপে ফেলে দেয়। ফলে পুলিশের কড়া জেরার মুখে বিক্রম স্বীকার করতে বাধ্য হন, তিনি মদ্যপান করেছিলেন।
তবে তিনি পুলিশকে জানান, তিনি মদ্যপান করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি মত্ত ছিলেন না। তিনি গাড়ি চালানোর মতো অবস্থাতেই ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হাতে পারেননি। তাই ফের জেরা করা হতে পারে বিক্রমকে, সেই আভাস দিয়েই রেখেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশি জেরার মুখ থেকে বেরিয়ে ভোররাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে পুলিশের তরফে।
কিন্তু কেন এমন অবস্থা হল বিক্রমের? এ প্রশ্ন উঠে পড়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিক্রমের বিবৃতির ফারাকেই তাঁকে পুলিশের ম্যারাথন জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রথমে বিক্রম জানিয়েছিলেন তিনি মদ্যপ ছিলেন না। এখন বলছেন, মদ্যপান করেছিলেন অল্প, মত্ত ছিলেন না। ট্রাম ট্র্যাকে পিছলে গিয়েই তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে।
এরপরই অবশ্য বিক্রম পুলিশের কাছে জানান, অন্য কোনও গাড়ি তাঁর গাড়ির সামনে চলে এসেছিল কি না, তিনি জানেন না। পুলিশ জানায়, শুধু ট্রাম লাইনে চাকা পিছলে গেলে এমন সাংঘাতিক ঘটনা ঘটতে পারে না। গাড়ির গতি অত্যন্ত বেশি থাকলেই সেই সম্ভাবনা থাকে। সেইসঙ্গে বিক্রমের মদ্যপানের বিষয়টি একেবারে এড়িয়ে যেতে পারছেন না তদন্তকারী অফিসাররা।
পুলিশ তাই রক্তপরীক্ষা রিপোর্ট তড়িঘড়ি হাতে পেতে চাইছে। জানতে চাইছে, তাঁর রক্তে কতখানি অ্যালকোহল ছিল। এমনকী গাড়ির সিটে যে রক্ত লেগেছিল, তা পরীক্ষা করেও অ্যালকোহলের মাত্রা জানতে চাইছে পুলিশ। তদন্তকারীরা তাই রক্তের নমুনার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন।