হাওড়ায় 'কঙ্কাল কাণ্ড'-র ছায়া, মায়ের মরদেহ আগলে তিন রাত ঘরবন্দি ছেলে
হাওড়া, ১৯ এপ্রিল : গত বছরের অগাস্টে হাওড়ার ডোমজুড়ে মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে একই ঘরে থাকছিলেন এক প্রৌঢ়া। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরতে দেখে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ঠিক তেমনই কাণ্ড ফের ঘটল হাওড়ার বুকে।
'সাইকো কাণ্ড'! হাওড়ায় মেয়ের মরদেহ নিয়ে বাস মায়ের
হাওড়ার শিবপুরের চন্দ্রকুমার ব্যানার্জি লেনে একইরকম ঘটনা ঘটেছে। ছবিরানি পাঁজার (৫৫) দেহ নিয়ে গত তিনদিন ধরে একই ঘরে থাকছিলেন তাঁর ছেলে তাপস পাঁজা। ঘরের সব জায়গার ছিদ্রে কাগজও গোঁজা ছিল। তবে শেষরক্ষা হল না।
ঘর থেকে পচা গন্ধ প্রতিবেশীদের নাকে এসে পৌঁছলে পুলিশে যোগাযোগ করা হয়। পরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে দরজা ভেঙে ঢুকে ছবিরানিদেবীর পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলকাতার 'কঙ্কাল বাড়ি'! এমন ঘটনা তো প্রথমবার নয়, তবে এত হইচই কেন?
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্বামী বছর দশ আগে মারা যাওয়ার পরে ছেলে তাপসকে নিয়েই থাকতেন ছবিরানিদেবী। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি থাকেন চন্দননগরে। গত কয়েকদিন ধরে রাতে ফিরছিলেন পেশায় কলের মিস্ত্রি তাপস। তবে ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরনোর পরই গোটা ঘটনা সকলের সামনে আসে।
আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তাপস পাঁজাকে খুঁজছে পুলিশ। কেন মায়ের মরদেহ নিয়ে তিনি দিন কাটাচ্ছিলেন, কেন কাউকে জানাননি এসব প্রশ্নের খোঁজেই এখন তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত এর আগে হাওড়ায় যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে পৌঢ়া মহিলাকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, মেয়ে-মায়ের বনিবনা ছিল না। একটিই মাত্র ঘরে থাকলেও এমনকী দুজনে নিজেদের মধ্যে তেমন কথাও বলতেন না। তাই মেয়ে মরে গিয়েছে তা তিনি জানতেন না।
অন্যদিকে গতবছরের ১১ জুন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে কঙ্কালকাণ্ড ঘটে যা নিয়ে সারা দেশে সোরগোল পড়ে যায়। পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি নিজের দিদির মৃতদেহ নিয়ে ৬ মাস একই বাড়িতে বাস করেন বলে সেসময়ে জানা গিয়েছিল।