আলাদা অধ্যায় নয়, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যে কৃষক আন্দোলনের মধ্যেই থাকবে সিঙ্গুর
নতুন বছরের পাঠ্যক্রমে সিঙ্গুর আন্দোলনকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে খসড়া প্রস্তূত হয়ে গেল। দু’টি খসড়া পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রীই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর : নতুন বছরের পাঠ্যক্রমে সিঙ্গুর আন্দোলনকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে খসড়া প্রস্তূত হয়ে গেল। দু'টি খসড়া পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রীই চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন, কোন খসড়াটির অন্তর্ভূক্তি ঘটবে পাঠ্যক্রমে। তবে স্থির হয়েছে সিঙ্গুর নিয়ে আলাদা অধ্যায় হচ্ছে না। কৃষক আন্দোলনের মধ্যেই একটি অংশ হবে সিঙ্গুর। তেলেঙ্গানা, তেভাগার পাশেই থাকবে সিঙ্গুরের অবস্থান।
সিঙ্গুর আন্দোলনের সাফল্যের পরই শিক্ষা দফতর থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছিল, এই কৃষক আন্দোলনকে স্থান দেওয়া হবে স্কুলপাঠ্যে। এবং তা যে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত মনোনয়নও হয়ে যায়। সিঙ্গুর আন্দোলন পাঠ্যক্রমে আনার জন্য সিলেবাস কমিটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে।
বৈঠকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি নির্দেশ দেন খসড়া তৈরি করার জন্য। ইতিমধ্যেই দু-দু'টি খসড়া প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই দু'টি খসড়াই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিই দুই খসড়া পড়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই যাতে সিঙ্গুর আন্দোলনকে পাঠ্যসূচিতে আনা যায়, তার জন্য সমস্ত প্রস্তুতিই সারা ছিল। পরে সিলেবাস কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে স্থির হয় অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে আনা হবে সিঙ্গুর আন্দোলন। প্রথমে স্থির হয়েছিল, সিঙ্গুর আন্দোলন নবম-দশম শ্রেণের সিলেবাসে আনা হবে৷কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে তা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসেই অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অর্থাৎ আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকেই পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়ে যাচ্ছে সিঙ্গুর। শ্রমিক দিবস, কৃষক বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহের মতোই সিঙ্গুরের জমি রক্ষার আন্দোলনও একই আসনে বসতে চলেছে। আর এই বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।